আমি এই গ্রুপটার প্রতি কৃতজ্ঞ । শুধু কৃতজ্ঞ বললে ভুল হবে আমি এই গ্রুপটার প্রতি এক ধরণের দায়বদ্ধতায় ভুগি ।

২০১৪ সালের মার্চের কোন এক দুপুরে আমি আমার ভার্সিটির হলের রুমে হতাশ হয়ে বসে ভাবতেসিলাম বিদেশে আসার এত এত Procedure ।।এগুলা জানতে জানতে হয়ত আমার পক্ষে আর বিদেশে পরতে আসা সম্ভব হবে না। আগেই বলে নেই আমার ওইরকম পরিচিত কেউ জার্মানি তে ছিল না যে আমি সব কিছু তার কাছ থেকে জানতে পারব । আর যে কোন কিছুর জন্য উৎসাহের প্রয়োজন হয় ।যাতে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন এই যাত্রা তে আমি একা নই । এই গ্রুপ এর কাছ থেকে আমি সেটা পেয়েছি … তাই শুরুতেই আমি গ্রুপের সকলকে বিশেষভাবে তানযিয়া আপু কে ধন্যবাদ জানাতে চাই ।

জেনে নিন ব্লকড একাউন্ট এর টাকা কীভাবে ফেরত আনবেন

আমাকে এই গ্রুপের অনেকেই অনেক কিছু সম্পর্কে লিখতে বলেছে । আগেই বলে নেই আমি কিন্তু ভাই এখন জার্মানি তে নাই । জার্মানি যাওয়ার সমস্ত procedure শেষ করেও আমি জার্মানি যাই নাই অন্য এক দেশে বৃত্তি পেয়ে যাওয়ার সুবাধে ।আমি জানি না এই গ্রুপে অন্য দেশে যাওয়ার নিয়ম কানুন বলা যায় নাকি । যদি যায় তবে আমি ওইটাও বলব।

যাই হোক , এবার আসল কথায় আসি । আমাকে অনেক বিষয় নিয়ে লিখতে বলা হলেও আসলে আমার লেখা হয় নি কারন এই গ্রুপের ভাইয়া আপুরা সেই সব বিষয় অনেক সুন্দরভাবে already লিখে রেখেছেন । তাই আমি চিন্তা করলাম যে জিনিসটা কম আছে সেইটা নিয়ে কিছু লিখি । আমি লিখব কিভাবে যদি কোন কারণে আপনার জার্মানি যাওয়া না হয় তবে কিভাবে টাকাটা আপনি জার্মানি থেকে আনতে পারবেন । কাজটার process খুব সহজ খালি অপেক্ষাটাই কঠিন ।

আমি দুই ধরণের টাকা জার্মানি থেকে এনেছি । প্রথম হল Dormitory এর জন্য অগ্রিম প্রদান করা টাকা আর দ্বিতীয়টি হল ব্যাংক এ পাঠানো টাকা । আমি ব্যাংক এ পাঠিয়েছিলাম ৯৭০০ ইউরো । ৫০ ইউরো কেটে রেখে পুরোটাই ফেরত আসছে । তাই যারা মনে করেন টাকা একবার গেলে আর আসবে না তাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নাই ।

Dormitory এর টাকা আনা সবচেয়ে সহজ । আপনি যার কাছে e-mail চালাচালির পর টাকাটা পাঠিয়ে ছিলেন তাকে আর একটা ইমেইল পাঠাবেন । দেখবেন উনি পুরা process আপনাকে বলে দিবে। আমার ক্ষেত্রে আমাকে বলেছিল যাতে একটা চিঠিতে আমি লিখিত দেই ( আমার স্বাক্ষর সহ অবশ্যই) যে আমি রুম নিব না । চিঠিটা scan করে উনাকে ই মেইলে পাঠিয়ে দিতে । এরপর উনি আপনার বাংলাদেশের ব্যাংক ডিটেইলস চাবে । যে ব্যাংক এর মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন তাদের টা দিলেও হবে অন্যটা দিলেও হবে। আমি বলব যাদের মাধ্যমে পাঠিয়ে ছিলেন তাদের টা দিন । পরে ঝামেলা হলে বলতে পারবেন ।

জেনে নিন ব্লকড একাউন্ট এর টাকা কীভাবে ফেরত আনবেন

আর যেটা রইল তা হল ব্যাঙ্কের টাকা । ওইটা আনাও খুব কঠিন কিছু না । আপনি এমব্যাসি তে একটা মেইল দিবেন । ওরা আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বলে দিবে । অই ডকুমেন্টস গুলা একটা খামে ভরে খামের উপরে আপনি যে টাকা ফেরত আনতে চাচ্ছেন সেটা লিখবেন তারপর খামের মুখ বন্ধ করে এমব্যাসি গেটে জমা দিয়ে আসবেন । যদি সব কাগজ ঠিক থাকে তবে ওরা আপনাকে জানাবে যে আপনার Consular certificate ইস্যু হয়েছে । আর এই ডকুমেন্ট ওরাই পাঠিয়ে দিবে । আপনার পাঠানোর দরকার নেই । আপনি পাঠাবেন closing order.যেখানে আপনি পূর্বের মতই আপনার ব্যাংক details দিবেন । এই ফর্ম টা আপনি Deutsch Bank এর ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নিবেন । সেটা সুন্দর মতো ওদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন।(Account খুলার সময় যে ঠিকানায় পাঠিয়েছিলেন আর কি ) । এর পর সবচেয়ে কঠিন কাজ। অপেক্ষা ।। আমার ক্ষেত্রে ২ মাস লেগেছিল … আপনার ক্ষেত্রে কয়দিন লাগবে সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না …।

আরেকটা কথা, আমি যখন মেম্বার ছিলাম তখন দেখেছি ২/১ জন আছে যারা পোস্ট এর রিপ্লাই পেতে দেরি হলে বা অন্য কোন কিছু হলেই মাঝে মাঝে ২/১ টা উল্টা পাল্টা বলে ফেলে । যেটা ঠিক না। যারা এখানে লেখে সবাই ব্যস্ত মানুষ ।। বলতে পারেন তারা এখানে লিখতে বাধ্য নয় । তাও উনারা লিখেন …।। এইটুক সম্মান ত উনাদের প্রাপ্য!!

সবাই ভাল থাকবেন … কোন পয়েন্ট মিস করলে কমেন্ট এর আলোচনার মাধ্যমে আশা করি জানা যাবে …।। 🙂

#GermanProbashe


এছাড়া পড়তে পারেনঃ

2 thoughts on “আমার ব্লকড একাউন্টের টাকা ফেরত আনার বাস্তব অভিজ্ঞতা”

Leave a Reply