আসসালামু আলাইকুম, ব্লক একাউন্টে টাকা পাঠাতে আমাদের ইদানীং বেশ ঝামেলা পেতে হচ্ছে। দেখা গেল কিছু ব্যাংক এই টাইপের কাজগুলা করে আবার অনেকে করতে চায়ও না। আমার অভিজ্ঞতাটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে আমার ব্লক একাউন্টে টাকা পাঠিয়েছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে।

একই রকম /এই রিলেটেড আর্টিকেল পড়তে পারে 

অপারেশন ঢাকা ব্যাংক

জনতা ব্যাংক: কম খরচে বিদেশে টাকা পাঠানো

শুরুতে কি কি ডকুমেন্টস যোগার করব তা নিচে দেওয়া হলঃ

logo

 

১। অফার লেটার
২। জার্মান এমব্যাসির ওয়েব এড্রেস থেকে পাওয়া রিকোয়ারমেন্টসের কাগজটা
৩। SSC, HSC, BSc/BBA/BA র সার্টিফিকেট
৪। Refund Policy for International Students
৫। ডয়চে ব্যাংকের একাউন্ট অফেনিং এর কাগজটা
৬। পাসপোর্টের ফটোকপি
৭। ম্যানেজার বরাবর আবেদনপত্র

• ৪নং এবং ৫নং ডকুমেন্টসগুলো স্ট্যাপ্লার করে নিবেন
• ৭নংটা আঞ্চলিক শাখার ম্যানেজার বরাবর আবেদনপত্র
• যে শাখায় আপনার একাউন্ট আছে সে শাখার ম্যানেজার বরাবর আরেকটি আবেদনপত্র (বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাবর যে আবেদনপত্রটা আছে ওইটাকে জাস্ট একটু মডিফাই করবেন)। সমস্যাটা হবে এইখানে যেটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। তাই যাওয়ার আগে আঞ্চলিক শাখার রেমিটেঞ্ছ অফিসার কে জিজ্ঞাস করে নিবেন এই লেটারটা লাগবে কিনা। মাঝে মাঝে লাগে নাহ। যদি লাগে তাহলে উনাকে বলবেন আপনাকে রেফার করার জন্য। তারপর আপনি গিয়ে বলবেন অমুকে আমাকে রেফার করেছে। এই লেটার টাই হল “Forwarding Letter”.।

একই রকম /এই রিলেটেড আর্টিকেল পড়তে পারে 

কীভাবে জার্মানির ডয়েচে ব্যাংকে ব্লক এ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন? (০৮- জুন- ২০১৫)

ব্লকড একাউন্টের জন্য ডয়েচে ব্যাংকের ফর্ম যেভাবে পূরণ করবেন (Deutsche Bank)

উপরের সব কাগজ পত্র গুলো নিয়ে দুই সেট সাজাবেন। একটার উপর লিখবেন বাংলাদেশ ব্যাংক কপি আরেকটার উপর DBBL কপি। Forwarding Letter DBBL কপির সাথে অ্যাড করবেন। আপনার কাজ শেষ। এইবার সবগুলো নিয়ে আঞ্চলিক শাখায় যে আপনাকে রেফার করেছেন উনার কাছে দিয়ে আসুন। আধা ঘন্টার মত লাগবে। ইনভইচটা নিয়ে বাসায় চলে যান। পরেরদিন দেখবেন আপনার ইমেইলে টাকা রিফান্ডের ম্যাসেজ এসে গেছে।
ধন্যবাদ।

এছাড়া পড়তে পারেনঃ

12 thoughts on “ব্লক একাউন্টের কথা – DBBL Bank”

Leave a Reply