এক তিক্ত অভিজ্ঞতাঃইবিএল টু ফিন্টিবা টু এমবাসি টেম্পোরারি কনফার্মেশনঃ

এক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার না করে পারলাম না। আমি গত ১৫/০২/২০২১ ইবিএল টু ফিন্টিবায় আমার ব্লকের টাকা সেন্ড করি যথারীতি তারপর দিন ইবিএল থেকে আমাকে সুইপ্ট কপি ইমেইল করে পাঠানো হয়। ১৭/০২/২১ তারিখে আমি সুইপ্ট কপি এট্যাচ করে ফিন্টিবায় ইমেইল করি ব্লকের কনফার্মেশন চেয়ে কিন্তু তারা আমাকে জানায় আমার টাকা এখনো তারা পায়নি। আমি আর একদিন অপেক্ষা করি তখনও আমার কনফার্মেশন আসে নাই৷ ১৮ তারিখ সারাদিন আমি ইবিএলের সাথে যোগাযোগ করি।

পরে তারা আমাকে তাদের করেসপন্ডিং ব্যাংকের ক্রেডিট ট্রান্সফারের সাকসেস কনফার্মেশন পাঠায় এবং সাথে ট্র্যাকিং নাম্বারসহ তারপর আমি ট্র্যাকিং করি দেখি টাকা কই আছে সেইটা, সেখানে আমি ট্রান্সফার সাকসেসফুলি টু দ্যা নেক্সট ব্যাংক দেখতে পাই ১৬ তারিখের ডেইটে। ১৮ তারিখ সারাদিন আমি ফিন্টিবার সাথে কথা বলি এবং ওদের ইমেল দিতে থাকি কিন্তু কোন কনফার্মেশন আমি পাচ্ছি না৷

১৯ তারিখ কোন উপায় অন্তর না দেখে আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম সকাল ১০ টায় আমার কাছে একটা ইমেইল আসে ইবিএল এর হেড অফিস থেকে যেখানে লিখা আমার টাকা বাংলাদেশে ব্যাক চলে আসছে। সাথে সাথে আমি ইবিএলের যে ভাইয়াটা আমার কাজ করে দিছিলো ওখানে ওয়াট্স আ্যাপে পাঠায়। ওনি বলল আপনার টাকা সটর ব্যাংক থেকে রিজেক্ট করা হয়েছে। তখন সাথে সাথে ব্যাংক ট্রান্সফার সুইপ্ট কপি এবং রিজেক্ট কপি ফিন্টিবায় ইমেল করে জানায় কিন্তু সকাল ১০টায় হওয়ায় জার্মানিতে তখনও ভোররাত তাই কিছুই করার ছিলো না৷ তবুও জার্মানিতে থাকা কয়েকজন বড়ভাইদের সাথে সাথে নক দেওয়া শুরু করলাম #Yusuf_Dinar bhai, Mohammad Anis Uddin bhai and Imtee Emu bhai আপনাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না ছোট ভাই হিসেবে আগলে রাখিয়েন সারাজীবন।

দুপুর ২ঃ৩০ টায় আমি ফিন্টিবায় কল দিলাম তারা তখনও বলতেছে আমার টাকা একাউন্টে ঢুকে নাই ঢুকলে আমি কনফার্মেশন পেতাম। আমি তাদের অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলাম। তারা কোনভাবেই মানতে নারাজ সটর ব্যাংক টাকা রিজেক্ট করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে সেটা৷ তারা আমাকে বলেই যাচ্ছে আমার টাকা যায়নি আর ইন্টারন্যাশনাল টার্নজেকশন হতে ৩-৫ দিন সময় লাগে। আমি কল কেটে দিয়ে আবার কল দিলাম৷ তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমার টাকা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সটর ব্যাংক থেকে তারপর তাদের বললাম দয়াকরে তুমি আমার লাস্ট ইমেইলটা চেক করো ওখানে আমি ব্যাংক ট্রান্সফার কপি আর তোমাদের রিজেক্ট কপি এট্যাচ করে দিয়েছি।

তারপর সে কনভিন্স হলো এবং বললো ঠিক আছে আমি আমার চিফের সাথে কথা বলে তোমাকে ইমেইল করে আপডেট দিচ্ছি। কল রেখে দিলাম বিকাল ৪টার দিকে ইমেইল দিলো তারা আমার কেইসটা সটর ব্যাংকে ফরওয়ার্ড করলো। ৪ঃ৩০ টায় আবার ইমেইল দিলো যে তাদের টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে টাকাটা একাউন্টে ঢুকার আগেই রিজেক্ট হয়ে গেছিলো ১৬ তারিখে তার জন্য তারা আমার একাউন্টে টাকা দেখতে পাচ্ছিল না৷ ওরা খুব সরি বলল এবং তাদের সমস্যার কথা স্বীকার করলো। তারা আমাকে বলল আবার টাকা পাঠাতে, আমি তাদের বললাম আমি ৮ মাস পর এমব্যাসি থেকে রেসপন্স পেয়েছি তাও এমব্যাসি ৭ দিনের সময় দিয়েছে ডকুমেন্টস সাবমিট করার জন্য আমার হাতে আর শুধু ১২ ঘন্টা আছে আর তাছাড়া আজকে, কালকে এখানে উইকেন্ড এবং তারপরদিন হলিডে তাই টাকা পাঠানো এখন পসিবল না।

আর ডকুমেন্টস সাবমিট করতে না পারলে আমার পাসপোর্ট ৬ মাসের জন্য ব্লক করে দিবে এবং আমাকে ৬ মাস পর আবার রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তখন ওরা বলল ওরা আমার জন্য এমব্যাসি মেইল করবে দরকার হলে। তখন ওরা আমাকে একটা ইমেইল দিলো যেখানে তাদের ভুলের কথা স্বীকার করা এবং আমাকে যাতে টাকাটা প্রসেসিং করার জন্য কিছুদিন সময় দেওয়া হয়। তখন আমি বললাম আমাকে এটা ডকুমেন্টস আকারে দাও যাতে আমি এমব্যাসিতে দিতে পারি এবং তোমরাও এই ডকুমেন্টসটা এমব্যাসিকে ইমেইল করে দাও। এরপর ওরা আমাকে আমার ফিন্টিবা একাউন্টে একটা টেম্পোরারি ব্লক কনফার্মেশন আপলোড করে দেয় আমি ওটা ডাউনলোড করে নিই।

তারা একটুপর আমাকে সিসিতে রেখে এমব্যাসিতে মেইল পাঠায়। ঐ টেম্পোরারি কনফার্মেশনটাসহ, ব্যাংক ট্রান্সফার কপি এবং সটর ব্যাংকের রিজেক্ট কপি একসাথে করে ব্লক কনফার্মেশন হিসেবে দিই। ৭ঃ৩০ টায় এমবাসিতে ডকুমেন্টস সাবমিট করে দিই। রাতে ৪ঃ৩০ টায় ঘুম ভাঙ্গে ডাটা অন করে দেখি এমব্যাসির রিপ্লে আমার ব্লক কনফার্মেশন নাই তাই আমাকে সব ডকুমেন্টস ডেডলাইনের আগে আবার সাবমিট করার জন্য বলে। ফিন্টিবার সবকিছু যা যা পাইছি সবকিছু এট্যাচ করে আবার মেইল দিই সকাল ৬টায়, কোন রিপ্লে না পেয়ে সকাল ৮ঃ৩০ টায় সবগুলো ডকুমেন্টস এবং ইমেইল বডিতে বিস্তারিত লিখে আবার মেইল করলাম।

একটু পর রিপ্লাই আসলো আমাকে আবার তাদের ওয়েবসাইট থেকে স্লট বুকিং দিতে হবে তাদের ওয়েটিং লিস্টে আসার জন্য। দোয়া করবেন সবাই আমার জন্য। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে ধৈর্য্য ধরার তৌফিক দান করুক। আমিন৷

Leave a Reply