সিনেমা জীবনকে নতুন ভাবে, নতুন করে দেখাতে শেখায়। জীবনের জটিলতার গলি-ঘুপচিগুলোকে সে যেমন রাঙিয়ে তোলে, তেমনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় জীবনে অসংগতিগুলোকে। সিনেমার কিছু মুহূর্তে আমরা উল্লাসিত হই আবার কিছু মুহূর্ত হৃদয়কে আর্দ্র করে তোলে। কখনো বা করুন হাস্যরসের মধ্যেই ফুটিয়ে তোলা হয় নির্মম সত্য। জীবনের যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলো আমরা অবহেলা করতেই অভ্যস্ত,  বড় পর্দায় কিছুতেই তা আর উপেক্ষা করা যায় না।

চলচ্চিত্র কখনো আমাদের অনুপ্রেরণা আবার কখনো আশার তরী। তাই সিনেমা দেখে কেউ জীবনকে ভুলে থাকে আবার কেউবা জীবনকে উপলব্ধ করে। তাই সিনেমা শুধু আনন্দের নয় বরং চিন্তারও খোরাক যোগায়। কল্পনার দুনিয়াতে ঘেরা রঙ্গিন পর্দার মাধ্যমে বারবার সে জানান দেয় জীবন অতিমাত্রায় বাস্তব।

তাই এবারে সেরকম কিছু চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্রকারের কথা তুলে ধরা হল বিভিন্ন লেখকের জবানীতে। আমরা প্রত্যাশা করি, ম্যাগাজিনের এই সংখ্যার প্রতিটি লেখা আপনাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন (প্রায় 5.41মেগাবাইট)

আশা করি, আমাদের এই পরিবেশনা আপনারা বরাবরের মত ভালবাসবেন। গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশনা আপনাদের ভালবাসার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আপনারাই আমাদের ম্যাগাজিনের প্রাণ! তাই যেকোন মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন (প্রায় 5.41 মেগাবাইট)

ধন্যবাদান্তে,

টিম জার্মান প্রবাসে

১১ অক্টোবর ২০১৫

২৬ আশ্বিন ১৪২২

Team German Probashe

অনিচ্ছাকৃত বানানভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আবেদন রইল।


চাইলে আপনিও লেখা/ছবি পাঠাতে পারেন!

লেখা আহ্বান:  প্রিয় লেখক, বই বা চরিত্র যা বদলে দিয়েছে আপনার জীবন

আসল নাম, হিমালয়, নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। বাবা একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যার তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তার মহাপুরুষ তৈরির বিদ্যালয়ও ছিল, যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান। ঢাকা শহরের পথে পথে খালি পায়ে পকেটবিহিন হলুদ রঙের পাঞ্জাবী পরে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, যুক্তি-বিরোধী মতানুসারে কাজ করা, আর, আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী এই ২৪-২৯ বছরের যুবক হয়ে উঠে স্বতন্ত্র এক ব্যাক্তিত্ব।

ঠিক তার উল্টোপিঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “মনোবিজ্ঞান” বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, যিনি প্রচন্ড যুক্তিনির্ভর, আর বিজ্ঞাননির্ভর একজন চরিত্র।তিনি নিঃসঙ্গ, হৃভদয়বান, তীক্ষ্ণ ধীশক্তির অধিকারী এবং অকৃতদার। তিনি ভালোবাসার গভীর সমুদ্র হৃ দয়ে লালন করেন, কিন্তু সেই ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দেবার মতো কাউকেই কখনও কাছে পান না।তিনি যুক্তিনির্ভর একজন মানুষ বলেই অসম সাহসিক। ভূতাশ্রিত স্থানেও রাত কাটাতে তিনি পিছপা হোন না, বরং এজন্য থাকেন যে, তাতে তিনি রহস্যময়তার ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারবেন।

অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গোয়েন্দা চরিত্র, ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসের সন্দেশ পত্রিকায় যার প্রথম গল্প প্রকাশ পায়। তার সর্বক্ষণের সঙ্গী তপেশরঞ্জন মিত্র, যে কি না তার সব গোয়েন্দা অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে, আছে তার বন্ধু লালমোহন গাঙ্গুলি, যিনি নিজেও একজন জনপ্রিয় লেখক, সাথে আছে অসাধারণ স্মৃতিশক্তি এবং সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী সিধুজ্যাঠা, আর, তার অন্যতম শত্রু মগনলাল মেঘরাজ। এসব মানুষজনকে নিয়েই চলে তার রহস্যময় গোয়েন্দা অভিযান।

এরকম আরো একজন, যিনি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজের বিজ্ঞানের অধ্যাপক। মাথার সামনের দিকে টাক, পিছনে কয়েকগোছা সাদা চুল। গোলফ্রেমের মোটা কাঁচের চশমা চোখে, থুতনিতে সাদা দাঁড়ি।অদ্ভুত অদ্ভুত সব আবিষ্কারের মালিক, অ্যানাইহিলিন, রিমেমব্রেন, মিরাকিউরল, লিঙ্গুয়াগ্রাফ । লিঙ্গুয়াগ্রাফ যন্ত্র যেকোনো ভাষাকে বোধগম্য করে তোলে, আর রিমেমব্রেন ব্যবহার করা হয় স্মৃতিউদ্ধারের কাজে!

হিমু, মিসির আলি, ফেলুদা আর শঙ্কুর মত আরো অনেক চরিত্র রয়েছে আমাদের সমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্যে এবং বিদেশী সাহিত্যে; ঠিক যেন একেকজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। যারা আমাদের কল্পনায় বাস্তব কে বুঝতে শিখায়, জোগায় অনুপ্রেরণা।
অবশ্যই এই রকম অনেক অনেক বই বা গল্পের কথা আমরা জানতে পারি আপনাদের কাছ থেকে। বাংলা সাহিত্যের বা কোন বিদেশী সাহিত্যের যেকোন বই, চরিত্র বা লেখক কে নিয়ে লিখতে পারেন আমাদের ম্যাগাজিনে। আমাদের পরবর্তী সংখ্যা সাজাতে চাই আপনাদের সেই অভিজ্ঞতা, অনুপ্রেরণা আর ভালো লাগার গল্প নিয়ে।

ডেডলাইনঃ ৩০ অক্টোবর, ২০১৫

লেখা পাঠানঃ [email protected]
অথবা পেজের ইনবক্সে পাঠানঃ www.facebook.com/pages/জার্মান-প্রবাসে/212610425614429
ছবির পাঠানোর জন্য বিস্তারিতঃ http://goo.gl/90IVlk
লেখার সাথে নাম ঠিকানা পেশা আর একটি ছবি অবশ্যই পাঠাবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ শুধু জার্মানি বা বাংলাদেশ থেকেই নয়, যেকোন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাদর আমন্ত্রণ আমাদের ম্যাগাজিনে! তাই আমাদের ম্যাগাজিনে লিখতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ বা জার্মানিতেই থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই!

জার্মান প্রবাসে আড্ডা দিতে চাইলেঃ www.facebook.com/groups/BSAAG/(বিশ্বস্ততার সাথে ৫১,০০০+ সদস্য নিয়ে)

——————————————————————–

অনলাইনে পড়তে চাইলেঃ

mm

By Debjani Ghosh

চিফ এডিটরঃ জার্মান প্রবাসে ম্যাগাজিন। বর্তমানে EWS, Ulm University তে পিএইচডি রিসার্চার হিসেবে কর্মরত। রিসার্চ টপিক "ইলেক্ট্রিক ফ্লাইট"। মাস্টার্স করেছি ইলেক্টিক্যাল পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, RWTH Aachen University তে।

Leave a Reply