Bozlu Jowardar

February 24 at 11:51 AM

#visa_interview

ভিসা ইন্টারভ্যু অভিজ্ঞতা

ইন্টারভ্যু ছিল দুপুর ২.৩০। গেটের বাইরে ডানপাশে গ্লাস কাউন্টারে পাসপোর্ট জমা নিল। এরপর ভেতরে প্রবেশ করা গেল। মোবাইল, চার্জার জমা রাখল ও ব্যাগ স্ক্যান করল। ডিটেক্টর দিয়ে পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অব্দি চেক আপ হল। ফেরত পাওয়া ব্যাগ নিয়ে এক জিগজ্যাগ গোলক ধাঁধাঁ পেরিয়ে ইন্টারভ্যু রুমে পৌছে গেলাম। প্রায় ফাকা রুম। দুপুরের অলসতায় সবাই আক্রান্ত বলে মনে হল। স্টাফের দেয়া সিকোয়েন্স ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী ডকুমেন্ট গুলো সাজালাম। ওয়েটিং এ বসার ১০ মিনিটের মাথায়ই কাউন্টার ০৬ থেকে ডাক পড়ল। আগেই এটেন্ড্যান্ট স্টাফ সকল ডকুমেন্ট কাউন্টার এ জমা দিয়েছিল।
ভিসা অফিসার: r u ___?
আমি: yes
ভি.অ : go to ur seat. i will call u again.
আমি: ok sir
১০মিনিট পর

ভি.অ: pay 6800tk
আমি: paid
ভি.অ: intended university?
আমি: told
ভি.অ: year of HSC?
আমি: told
ভি.অ: GPA?
আমি: told
ভি.অ: year of bachelor?
আমি: told
ভি.অ: result?
আমি: told
ভি.অ: Program Name?
আমি: told
ভি.অ: put ur fingerprints
আমি: follwed the instructions
ভি.অ: u have to submit the enrollment fee payment proof within 15 days
আমি: ou sure!
ভি.অ: Thanks
আমি: welcome sir
মানি রিসিপ্ট ও মিসিং ডকুমেন্ট রিসিপ্ট পেলাম।

বের হয়ে আসার ব্যাপারটা বেশ নাটকীয় ছিল। যেদিকে এই রুমে ঢুকে ছিলাম সেদিকেই বের হতে গেলাম (যদিও দরজার ভেতরে লিখা ছিল NO EXIT)। সেই গোলক ধাঁধাঁ পার হয়ে চেকিং কাউন্টারের দিকে এগুচ্ছি তখনই নজরে আসল চেকিং স্টাফের ইশারা – go back! go back! বুঝলাম গন্ডগোল পাকিয়েছি। ফেরত গেলাম ইন্টারভ্যু রুমে। স্টাফ নাই। অসহায়ভাবে এক ভিসা অফিসারের দিকে তাকালাম। এ ব্যাপারে সাহায্য করার বিশেষ কোন আগ্রহ আছে বলে মনে হল না। নিজে খুজে বের করলাম EXIT লিখা দরজা। বের হয়ে “চরকি গেট” আটকা পড়লাম। চরকি ঘুরে না। অসহায়ভাবে আশে পাশে তাকালাম। কেউ নাই। তারপর সাহস করে আবার জোরে ধাক্কা দিলাম। চরকি এবার ধীরে ঘুরলো। এবার শেষ দরজা। বাইরে রাস্তা দেখা যাচ্ছে। হায়, এটাও বন্ধ। অনেক অব্জারভ করেও বুঝলাম না কিভাবে খুলব। বাইরে থেকে পুলিশ ব্রাদার ইশারা দিল। তাও ব্যার্থ। অতঃপর দরজার উপর অতিক্ষুদ্র ইন্সট্রাকশন পড়ে বুঝলাম একটা বাটন চাপতে হবে। অনেক চেস্টায় দরজার ডানপাশের দেয়ালে মেটাল সারফেসে ক্ষুদ্রতম বাটনটা পেলাম। চাপলাম। দরজা ধীরে খুলল। পুলিশ ব্রাদার সান্ত্বনা দিল “দরজার লকে একটু সমস্যা আছে”। হাসলাম।

একেবারে যেন মুক্তির স্বাদ… 

mm

By টিম জার্মান প্রবাসে

আমি জার্মান প্রবাসে! আপনাদের সাথে ছিলাম, আছি, থাকব! :)

Leave a Reply