ভাই ফিনতিবার টাকা কেমনে পামু? থামেন ভাই টেনশন নাই, ফিনতিবা নিজেই পেরায় থাকে কবে আপনের টাকা দিয়ে উদ্ধার হবে
জার্মানি আসছেন এখন থান্ডায় মাথা ঠান্ডা করে এই স্টেপ গুলা ফলো করতে পারেন।

প্রথমেই ইম্পরর্টেন্ট হচ্ছে একটা সিম কার্ড ইন্টারনেট ছাড়া আপনি কতো অসহায় তা সাথে কেউ না থাকলে বুঝতে পারবেন। আমি ভার্সিটির কাছে থেকেই লাইকা সিম কিনছিলাম এখনো তাই চলে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কিনে নিয়েন তবে সবাই প্রথমেই কন্ট্রাকে সিম কিনতে মানা করে সেই জন্য প্রিপেইডই ভালো।
এখন কাজ হচ্ছে ভার্সিটির ফরমালিটিস ,আপনি কারও কেয়ার অফ দিয়ে আপনার প্রাথমিক সব কাজ শেষ করতে পারবেন পরে সব এড্রেস চেঞ্জ করে নিবেন। অফার লেটার দেখে যা যা দরকার এন্রোলমেন্ট ফি ,ইন্সুরেন্স সব কাগজ যা আপনার লাগবে নিয়ে এই কাজ গুলো সেরে ফেলেন ।
ইন্সুরেন্স নিয়ে অনেক পোস্ট আছে দেখে নিতে পারেন জার্মান প্রবাসে

এখন একটু সময় করে ফিন্তিবার অনলাইন এ লগিন করে কিছু একসন রিকুইয়ার্ড আসছে ভাল করে দেখে কাজ গুলো সেরে ফেলেন। প্রথমে চাইবে আপনার জার্মান ভিসা অর রিজেকসন লেটার এর পিডিএফ কপি ভিসা ডেট দিয়ে পিডিএফ টা আপলোড মেরে দেন। তার পর চাইবে জার্মান এড্রেস (কি মুসিবত এখনো বাসা পাই নাই এড্রেস পামু কই ?) বেপার না আপনার পরিচিত কারও এড্রেসও দিতে পারেন

এখন কাজ হলো সিটি রেজিস্ট্রেশন যথারীতি এই সব নিয়া ডিটেইলস পোস্ট আছে দেখে নিন। সিটি রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করে আপনাকে খুলতে হবে ব্যাংক একাউন্ট
এখন আপনি ডয়েচ কমার্সজ স্পার্কাসে যেইটাই ভাল লাগে একটা ইয়োথ বা স্টুডেন্ট বা কারেন্ট একাউন্ট খুলবেন। ওরা আপনার আইবান সুইফট বি আ সি একাউন্ট নাম্বার দিবে তা নিয়ে বাসায় জাইয়া একটু রান্না বান্না করে খাইয়া নিবেন।

অইযে আগেই কিছু কাজ করে রাখছিলেন ফিন্তিবার জন্য তারা আপনার জন্য নতুন কাজ পাঠাইছে PostIdent Voucher এইটা ডাউনলোড করেন প্রিন্ট করেন করে পাসপোর্ট আর সিটি রেজিস্ট্রেশন পেপার নিয়ে চলে যান নিকটস্থ ডএচপোস্ট অফিসে ঘাব্রানোর কারন নাই অলিতে গলিতে তাদের পোস্ট অফিস । তাদের নিয়া দিবেন এই PostIdent Voucher আর পাসপোর্ট তারা আপনার এড্রেস লিখে পাসপোর্ট স্কেন করে একটা ফর্ম দিবে কষ্ট করে ফর্মটা পরে নিচে সিগ্নেচার করে পাসপোর্ট নিয়া চলে আসেন। বাসায় ভাল মন্দ খান।

২ দিন পর আপনার ফিন্তিবা আবার নতুন চমক নিয়ে হাজির তার এখন আপনার ব্যাংক ডিটেইলস আর আপনার মোবাইল নাম্বার লাগবে তো দিইয়া দেন আপনার আইবান নাম্বার আর বাকি ডিটেলস তারা আপনার মান্থলি পে আউট সেট করতে বলবে । এখন কাহিনী হলো ফিন্তিবা সেই কাইন্ড আপনার প্রথম পে আউট দিবে ৮১০ যা নরমাল। কিন্তু তারা আপ্নারে বেশি ভালবাসলে ১৫১০ বা ২২১০ ইঊরোও দিতে পারে মানে আপনার ২ ৩ মাসের টাকা একবারে চলে আসবে ।
এখনতো আপনি বেজায় খুশি এত টাকা কই খরচ করবেন হুস হারায়া ফেলসেন ভাই ব্রেক লাগান আপনার ভিসা এক্সটেনশন নামক একটা পেরা এখনো বাকি তাই যতো দিন যাবত আপনার ভিসা এক্সটেন্ড না হয় টাকা পয়সা বুঝে শুনে খরচ কইরেন
ভিসা অফিসার ব্যাংক বেলেন্স দেখেও ভিসা দেয় বেহুস হইয়া টাকা খরচ করে গেলেন ভিসা বারাইতে আর আপ্নারে ভিসা দিলো ৮ মাস আপনে ঠেলা সাম্লাইতে কষ্টনা হইয়া যায়।

ভাল থাকবেন সবাই
আমি বাংলা টাইপিং শিখতেছি অনেক ভুল আছে দয়া করে ক্ষমা করবেন

2 thoughts on “Fintiba জার্মানি আসার পর কি করবো!”
  1. আমারও একই প্রশ্ন ব্লক একাউন্টে ইউরো না দিয়ে জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা যাবে কি না?কতগুলো টাকা অতিরিক্ত চাপ।কেউ উত্তর দিবেন

Leave a Reply