সবাইকে শীতের হিমেল শুভেচ্ছা। জার্মান প্রবাসে ম্যাগাজিন এই মাসে ৩য় বছর সম্পূর্ণ করল। আপনাদের ভালোবাসা এবং অনুপ্রেরণা আমাদের পথের পাথেয় হয়ে থেকেছে সবসময়। তাই আপনাদের ধন্যবাদ।
এই তিনটি বছর অনেককিছু শিখিয়েছে আমাদের। আমরা জানি এখনও আমাদের প্রিয় ম্যাগাজিন তাঁর শৈশবকাল পার করছে। তবুও এখানে কাজ করতে গিয়ে আমরা শিখেছি, যাই ঘটুক না কেনঃ “শো মাস্ট গো অন!” আমরা জেনেছি, ভাল কাজের মূল্যায়ন আজ না হলেও কাল হবে। যেমনঃ ডয়েচে ভেলের দ্যা ববস এওয়ার্ড। তাই নতুনদের প্রতি আন্তরিক উপদেশঃ কোন ব্যাপারে আপস না করে, ভাল কাজ করে যাও এবং ভাল ফলের কথা চিন্তা কর, কিন্তু আশা কর না। দেখবে কাজ করা কত সহজ হয়ে গিয়েছে। মনে রাখবেঃ অতিরিক্ত আশা হল ভ্রমের মূল।
সেইসূত্র এবারের ম্যাগাজিন আমরা সাজিয়েছি নতুন দেশ বিষয়ক অভিজ্ঞতার আদলে। জার্মানিতে নতুন এসেছেন এরকম বেশকিছু লেখিকা রয়েছেন আমাদের এইবারের ম্যাগাজিনে। আশা করি তাঁদের লেখা আপনাদের ভাল লাগবে।
ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন
(প্রায় ৭.১ মেগাবাইট)
আশা করব, আমাদের এই প্রচেষ্টার পাশে বরাবরের মত এই বছরও আপনাদের পাব। এই বছরটা সবার জীবনে সুন্দর কিছু পরিবর্তন আনবে সেই কামনা রইল।
টিম জার্মান প্রবাসে
২২ জানুয়ারি ২০১৭,
০৯ মাঘ ১৪২৩
অনিচ্ছাকৃত বানানভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আবেদন রইল।
ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন
(প্রায় ৭.১ মেগাবাইট)
চাইলে আপনিও লেখা/ছবি পাঠাতে পারেন!
***’বিজ্ঞান’ নিয়ে লিখুন জার্মান প্রবাসে- মার্চ সংখ্যায়***
গ্যালিলিও গণিতকে বলতেন ‘প্রকৃতির ব্যকরণ’। আমার মত নির্বোধের কাছে আপাত অপ্রয়োজনীয় এই গণিতের শক্তি স্বয়ং আইনস্টাইনকেও মুগ্ধ না করে পারেনি। তিনি বলেছিলেন, ‘কীভাবে এটা সম্ভব যে গণিতের মতো একটা জিনিস- যেটা কিনা অভিজ্ঞতা অনপেক্ষ মানব মনসঞ্জাত একটা সামগ্রী বৈ আর কিছু নয়- সেটা বস্তুজগতের বাস্তবতাকে এত সুচারুরূপে উপস্থাপন করতে পারে?।’ (শূন্য থেকে মহাবিশ্ব- অভিজিৎ রায় ও মীজান রহমান)
কৈশোরের অভিশপ্ত বহু নামের একটি পিথাগোরাস। তাঁর উপপাদ্যের উৎপাতে নবম-দশম শ্রেণি বেতের বাড়িতে বিবর্ণ হয়নি এমন কাউকে বোধয় পাওয়া যাবেনা। উপরে উদ্ধৃত বই থেকে জানা যায় এই গণিতজ্ঞ-দার্শনিকের শুন্যভয় ছিল মারাত্মক। শূন্যকে তিনি এতই ভয় করতেন যে হিপসাস নামের এক শিষ্যকে পানিতে ডুবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন শূন্য উচ্চারণ করার কারণে।
তবু বিজ্ঞানের নানা প্রশাখা মানুষকে আন্দোলিত করতে করতে প্রগতির ধারায় বহন করে আজ অব্দি এনেছে। জন্মধর্মকে মানুষ হাসিমুখে ত্যাগ করলেও বিজ্ঞানকে পারেনি। কারণ এ বড় চাক্ষুষ বস্তু। বহু মতাদর্শ নিয়ে মানবজীবন। ইংরেজ বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার পথপ্রদর্শক ফ্রান্সিস বেকন বলতেন, যে বিজ্ঞানকে অল্প জানবে সে নাস্তিক হবে, আর যে ভালো ভাবে জানবে সে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে। এতস্বত্বেও অধিকাংশ বিজ্ঞানী এ মতকে অস্বীকার করে এসেছে, এমনকি কবি সাহিত্যিকেরাও। হুমায়ুন আজাদ বলতেন, মানুষের উৎপত্তি সম্পর্কে দুটি তত্ত্ব রয়েছে : অবৈজ্ঞানিকটি অধঃপতনতত্ত্ব, বৈজ্ঞানিকটি বিবর্তনতত্ত্ব। অধঃপতনতত্ত্বের সারকথা মানুষ স্বর্গ থেকে অধঃপতিত। বিবর্তনতত্ত্বের সারকথা মানুষ বিবর্তনের উৎকর্ষের ফল। আমি যেহেতু মানুষের উৎকর্ষে বিশ্বাস করি, তাই বিশ্বাস করি বিবর্তনতত্ত্বে। অধঃপতন থেকে উৎকর্ষ সব সময়ই উৎকৃষ্ট।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন আমাদের আসছে জার্মান প্রবাসের মার্চ সংখ্যা ‘বিজ্ঞান’ নিয়ে। জ্ঞান বিজ্ঞানের যে শাখা আপনাকে মুগ্ধ করে রেখেছে সারা জীবন ধরে আমাদের ম্যাগাজিনে সেসব কথা লিখে পাঠান। স্কুল কলেজে গণিত, পদার্থ, রসায়ন, মহাকাশ ইত্যাদি নিয়ে মজার ঘটনাও লিখতে পারেন। এছাড়াও এপ্রিলের নতুন সেমিস্টারে নতুন যারা জার্মানিতে আসছে তাদের জন্য পরামর্শমূলক লেখা আমরা আনন্দের সাথে প্রকাশ করতে চাই।
লেখা পাঠানোর শেষ তারিখঃ ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৭
লেখা পাঠানঃ [email protected]
অথবা পেজের ইনবক্সে পাঠানঃ www.facebook.com/pages/জার্মান-প্রবাসে/212610425614429
ছবির পাঠানোর জন্য বিস্তারিতঃ http://goo.gl/90IVlk
লেখার সাথে নাম ঠিকানা পেশা আর একটি ছবি অবশ্যই পাঠাবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ শুধু জার্মানি বা বাংলাদেশ থেকেই নয়, যেকোন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাদর আমন্ত্রণ আমাদের ম্যাগাজিনে! তাই আমাদের ম্যাগাজিনে লিখতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ বা জার্মানিতেই থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই!
জার্মান প্রবাসে আড্ডা দিতে চাইলেঃ www.facebook.com/groups/BSAAG/(বিশ্বস্ততার সাথে ৫৭,০০০+ সদস্য নিয়ে)
——————————————————————–
অনলাইনে পড়তে চাইলেঃ https://goo.gl/6SZjev