ফ্রিডরিশ নাওমান ফাউন্ডেশন একটি খুবই প্রসিদ্ধ অলাভজনক জার্মান সংস্থা। জন্মের পর থেকে এই সংগঠন প্রায় ৭০০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ১১০০ জনের মত শিক্ষার্থী এখানে আবেদন করে। এই মুহুর্তে ৮৫০ জনের মত ছাত্র-ছাত্রী এই ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি নিয়ে লেখাপড়া করছে। বর্তমানে (২০১৪ পর্যন্ত) বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায় ২০% বিদেশী। দিন দিন তা বাড়ছে। 🙂

ফ্রিডরিশ নাওমান

শুধু বৃত্তি দেয়াই নয়, এই সংস্থাটি উদার রাজনীতির প্রয়োগ এবং প্রসারেও কাজ করে। এবার এঁদের ইতিহাস সম্পর্কে একটু জানা যাক। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৫৮ সালে। যাঁর নামে এটি প্রতিষ্ঠিত অর্থাৎ ফ্রিডরিশ নাওমান ছিলেন একজন বিখ্যাত প্রোট্যাস্ট্যান্ট থিওলজিয়ান। তাঁর মতাদর্শ জার্মান রাজনৈতিক দল ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি বা FDP তে বহুল সমাদৃত। এই ফাউন্ডেশনের সাথে FDP জড়িত থাকলেও ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকেই এই ফাউন্ডেশন সহয়তা করে থাকে। তাঁদের ওয়েবসাইটে গেলেই প্রথমে যা দেখবেন সেটা হলঃ

Friedrich Naumann Foundation for Freedom
কিংবা
Friedrich-Naumann-Stiftung für die Freiheit

কাদের বৃত্তি দেয়া হবে

বিদেশী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সাধারণত মাস্টার্স এবং পিএইচডি লেভেলে এই বৃত্তি দেয়া হয়। প্রার্থীকে জার্মান কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হবে।

কয়জনকে বৃত্তি দেয়া হবে

বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সংখ্যাটি সাধারণত প্রতি বছর ১৫ থেকে ২৫ জন

এপ্লিকেশন ডেডলাইন

প্রতি বছর ৩০ এপ্রিল এবং ৩১ অক্টোবর (এখানে চেক করে দেখুন।)

স্কলারশিপের পরিমাণ

মাস্টার্স এর শিক্ষার্থীদের সাধারণত ৫৯৭ ইউরো + হেলথ ইনস্যুরেন্স এর জন্য ১২৫ ইউরো সহ আরো কিছু প্রণোদনা দেয়া হয়। পিএইচডি শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১১৫০ ইউরো + ১০০ ইউরো (রিসার্চ এর জন্য এক্সট্রা খরচ) পেয়ে থাকেন।

কতদিন বৃত্তি দেয়া হবে

প্রথমে ১ বছরের জন্য দেয়া হয়। এরপর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এটা বাড়ানো হয়।

এপ্লিকেশন করতে সাধারণত কী কী ডকুমেন্ট লাগে

১, সিভি/রিজিউমি (সর্বোচ্চ. দুই পৃষ্ঠা)
২, পাসপোর্টের বর্তমান কপি
৩, সকল সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা বা প্রাসঙ্গিক ডিগ্রী (যদি পাওয়া যায়)
৪, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির / নিবন্ধন সনদ বা অফিসিয়াল যোগাযোগ মাধ্যম
৫, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার

প্রার্থীদের যেসকল যোগ্যতা থাকবে হবে

১, মেধাঃ যারা আবেদন করবেন তাদেরক নিজেদের শিক্ষাক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

২, ব্যক্তিত্বঃ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের ইচ্ছা, দায়িত্বশীলতা, আগ্রহ এবং সর্বোপরি মুক্তচিন্তার মানসিকতা ইত্যাদিও থাকতে হবে।

৩, উদারতা এবং সামাজিক অঙ্গীকারঃ প্রার্থীকে অবশ্যই সামাজিক ইস্যুতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।

প্রার্থী নির্বাচনের ধাপসমূহ

সাধারণত চারটি ধাপে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সেগুলো হলঃ

১ম ধাপঃ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। (এখানে দেখুন।)

২য় ধাপঃ প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন।

৩য় ধাপঃ এই ধাপে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মিটিং/কনফারেন্সে ডাকা হবে।

৪র্থ ধাপঃ ৩য় ধাপের দুই সপ্তাহের মাঝেই প্রার্থীকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়।

যোগাযোগ করতে চাইলে

Friedrich Naumann Foundation
Karl-Marx-Str. 2
14482 Potsdam
Germany

For questions beyond, contact us at:

Frau Junge (Buchstaben A – H)     0331 7019 374
Herr Shahpari (Buchstaben I – Z)     0331 7019 349

E-Mail: [email protected] কিংবা [email protected]

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

www.freiheit.org (জার্মান ভাষায়, তাই ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন। এরপর রাইট বাটন ক্লিক করে ইংরেজি করে নেয়া যায়।)


আরো পড়তে পারেনঃ

তথ্যসূত্রঃ freiheit.org, DAAD.de

mm

By Rashidul Hasan

Founder and currently coordinator of the largest community platform of Bangladeshi people in Germany, named ''Bangladeshi Student and Alumni Association in Germany'' (www.facebook.com/groups/BSAAG) and GermanProbashe.

One thought on “ফ্রিডরিশ নাওমান স্টিফটুং – স্বাধীনতাপ্রেমীদের বৃত্তি দেয় যে সংস্থা”
  1. I am a Bangladeshi student of college level. I have got GPA 5 in SSC. My family condition is not estableshed. So, I really need a scholarship…

Leave a Reply