উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি প্রথম ধাপ হিসেবে গন্য করা যায় প্রফেসর বা প্রোগ্রাম ডিরেকটরকে মেইল করা। এটি মাস্টার্স এবং পিএইচডি লেভেলে অত্যন্ত জরুরি কেননা এর ওপর অনেক অংশে নির্ভর করে সুযোগ সুবিধাগুলো। আমাদের ইদানিংকার অভ্যাস কারো লেখা দেখে নকল করে ফেলা যার অনেক নমুনা দেখা যায় অহরহ; এমনটি না করার জন্যে অনুরোধ রইলো। নিজের বলে যতখানি সম্ভব আগানো ভালো। বেশি আগালে পেছানোর সম্ভাবনা ও থেকে যায় বইকি!
খুব সহজ সরল ভাষায় কি করা উচিত আর কি করা ঠিক হবে না তার সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি দেয়া হলো আর সাথে রইলো শুভ কামনা।
কি করা উচিত?
১. যেকোন প্রফেসরের কাছে মেইল পাঠানোর আগে তার CV থেকে পাবলিকেশন, কাজের ধরন এবং প্রতিষ্ঠানের গবেষনার ধরন জেনে নেয়া উচিত।
২. প্রথম মেইল এর লেখা হতে হবে নির্ভুল।
৩. সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য সংযোগ করে দিতে হবে যেমন CV এবংপ্রপোজাল।
৪. রিসার্চ প্রপোজাল এর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ এটি “unpublished” লেখা যার নকল হতে পারে। এই কারণে সবসময় অফিসিয়াল মেইল ব্যবহার করতে হবে এবং মেইল এর কপি রেখে দিতে হবে।
কি করা ঠিক হবে না?
১. বিশাল বড় বৃত্তান্ত লেখা ঠিক হবে না কারণ প্রফেসরদের এত সময় নেই।
২. প্রথম মেইল এ ফান্ড এর কথা বলা ঠিক হবে না। যদি প্রফেসর উত্তর দেয় তখন প্রশ্ন করা যেতে পারে।
৩. অসামঞ্জস্যপূর্ণ রিসার্চ প্রপোজাল পাঠানো আর না শোনা একই কথা।
৪. বারবার মেইল করে বিরক্ত না করা কাম্য। যদি ৩ সপ্তাহের মাঝে উত্তর না পাওয়া যায় তার মানে উত্তর “না” বলে ধরে নিতে হবে।
লিখতে চাইলে অনেক লেখা যায় কিন্তু এই লেখাটির উদ্যেশ্য সবকিছুর বিশদ বিবরন দেয়া নয় বরং অল্পকিছু উপদেশ দেয়া। এর থেকে বিস্তারিত জানতে চাইলে একটু ইন্টারনেট ঘাটলেই শয়ে শয়ে লেখা পাবেন। এই বিষয়ে এটিই প্রথম লেখা নয় তবে সব থেকে সংক্ষিপ্ত লেখা হতে পারে…
আরো পড়তে চাইলে দেখতে পারেন
পিএইচডি কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়?
গবেষণা: পিএইচডি করার রোডম্যাপ: রাগিব হাসান – পর্ব ৬
স্কলারশিপ (scholarship) কি সোনার হরিণ নাকি দাবার গুটি?