2অনেক সময় আমরা হুট হাট পিএইচডি করব, হেন করব, তেন করব বলি…আপনি যে এই কথা বলেন-জানেনতো পিএইচডি কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়?3

বর্তমান ধারনা থেকে লেখা তাই বছরখানেকের মাঝে এই মত বদলাতেও পারো। PhD মানে ডক্টর অফ ফিলোসফি যার মাঝে অনেক লুকানো বিষয় আছে যা বোঝা বা শেখার দরকার আছে। সাধারনত নতুন গবেষনা এবং নতুন কিছু উদ্ভাবন করা যা আগে কখনো করা হয়নি, পিএইচডি অন্যতম চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ না করতে পারলে সাধারনত ডিগ্রী অর্জন করা যায় না।

এখন কথা হলো তাদের নিয়ে যারা মিনিটে মিনিটে প্রশ্ন করে, মাস্টার এবং পিএইচডি করা যাবে তো? আগে জানতে হবে….

আপনি পিএইচডি করে করবেন কি?

উত্তর: জানি না (তাহলে দরকার নাই চেষ্টা করার)

আপনি কি আপনার প্রফেসর এর ৫% টপ জন (জীবনদশার) শিক্ষার্থীর মাঝে একজন কি?

উত্তর: জি না  (তাহলে দরকার নাই চেষ্টা করার)

আপনার নিজের যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরা হবার যোগ্যতা রাখেনতো?

উত্তর: চিরকুটের জোর আছে না!  (তাহলে দরকার নাই চেষ্টা করার)2

এইসব কথা আমাদের অহরহ শুনতে হয় বলেই বলা…অর্ধেক পথে গিয়ে আটকে থাকার চেয়ে আগে বুঝে নেয়াই ভালো। এখন কথা হলো কোন ধরনের ডক্টরেট আপনি পাবেন তা নির্ভর করে আপনার পড়াশোনার বিষয়ের ওপর… Dr-ing (ইঞ্জিনিয়ার), Dr-Phil (ফিলোসফি) প্রভৃতি।

আপনি কি সবজান্তা শমসের? আপনাকে আপনার বিষয়ে আপনার প্রফেসরের থেকে বেশি জানতে হবে, সবার থেকে বেশি জানতে হবে। আন্দাজে মিনিটে মিনিটে এইটা নেই অমুক গবেষনা কখনো হয়নি, তমুক বিষয়ে কাজ আছে কিনা আমার জানা নেই এই সব কথা দিয়ে কাজ হবে না। আন্দাজের ওপর কাজ আর পিএইচডিতে বাশ একই কথা-তা আপনি বাশ খাবেন নাকি আগেই তল্পিতল্পা গোছাবেন, কোনটা?

2

পিএইচডি করার কিছু পেরার কথা এখন না বললেই না…ইউরোপে পিএইচডির ফান্ড বা স্কলারশিপ খুজতে জীবন তামা তামা হয়ে যাবে তারপরেও লক্ষীর দেখা মিলবে না। সেই সাথে আরো ভেজাল হলো পিএইচডি চলাকালীন আপনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারন কাজ করতে পারবেন না। কারনটা খুবই সাধারন, আপনাকে ব্যাচেলর আর মাস্টার চলাকালীন ধরা হবে সাধারন ছাত্র যা কিনা পিএইচডি র সময় ধরা হয় না। এরমানে সাধারন নেবেন জব দিয়ে টেকা যাবে না যদি না ডিপার্টমেন্ট এ hiwi জোটে।2

এইসব পেরা এবং পুলসিরাত পার হতে পারলে তিন থেকে ৭ বছরে আপনি ডকটরেট ডিগ্রী লাভ করবেন এবং নতুন করে চাকরি খোজার পেরায় পরবেন। এর পরেও যদি চান এই রাস্তায় যেতে,রইলো সমবেদনা। একটা কথা খুব জরুরি বলে রাখা ফান্ড পেলেই যে পিএইচডি করতে হবে তাও কিন্তু ঠিক নয় কেননা আপনাকে বুঝে নিতে হবে আসলে আপনি কতটা আগাতে পারবেন। যদি মাঝপথে আটকে যান-আপনি শেষ আর যদি আগে থেকে চাকরি খোজা শুরু না করেন তবে পিএইচডির পরেও আপনি শেষ।….আপাতত এখানেই শেষ করলাম…2বি.দ্র. লেখাটি বিশেষ করে আজকালকার বাংলাদেশী বিশেষ ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের জন্যে লেখা যারা পিএইচডি র মানে বোঝেন না কিন্তু হুটহাট প্রশ্ন ছুড়ে বসেন-আচ্ছা পিএইচডি করা যাবেতো? আপনার সাধারন পরীক্ষাতে পাশ করতে যান যায়, পরীক্ষার হলে ঘাড় ফেরাতে ফেরাতে সময় শেষ আপনি করবেন পিএইচডি? সার্কাসের রিং মাস্টার হয়ে যান কাজে দিবে। অনেক অনেক প্রশ্ন আসে এই ব্যাপারটি নিয়ে তাই বিশেষ যত্ন নিয়ে সত্যি কথা লেখার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

mm

By Tanzia Islam

Tanzia Islam is an admin of BSAAG, learn german and Germanprobashe.com this is a volunteer work from her side for the Bangladeshi community. She is also an admin of Free Advice Berlin. Her volunteer activities are related to educational development, city development and environmental protection. Tanzia is a freelance writer and researcher. Currently she is a doctoral researcher at Technical University of Berlin.

22 thoughts on “পিএইচডি কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়?”
    1. Thank you Shihab.As I and my team often helping Bangladeshi students for further career development. Often we see mis conception regarding PhD. This write up is to warn the prospective Bangladeshi students regarding the reality so that they are well prepared for the future. If you cannot percive the hard part, you may not be prepared for the reality.

      1. Dear Ms. Tanzia,
        Thanks for your well written article. I did PhD from one of the appreciated university in Taiwan and MS from Australia and I am working as a faculty member at very well known university in Malaysia. I just don’t wanna name it. .
        I personally strongly disagree with what you say. I don’t think to do PhD needs a good GPA in Bachelor and Master Degree. I have seen many students from Bangladesh without MS also could enroll for PhD in Australia with low GPA. It just about passion towards researches. If you are not imaginative towards breaking the codes or don’t have the initiative to carry the urge to reach success along with your weakness es then you haven’t had the feeling of real success. you might have a blunt sword, but you can kill a beast if you put your enough effort to sharpen it. It just needs the passion for creating new knowledge. For me, it was one of the best experiences in my life, and it has certainly shaped everything I’ve done going forward. Moreover i get that it is totally your thing to write an article about whatever the subject you want to but dear, did you notice the spelling of your “percive” on your very last line is utterly wrong? hahaha, get some English classes first.
        Best Wishes,
        Kazi Mostafa, Ph.D
        P.S. On articles about about topics like these be a good vibe not a bad vibe.

        1. Thank you for your comment. I am delighted to receive such comment on smelling mistake which is surely under ‘zero tolerance’. I appreciate such criticism and surely will work on it. For the rest, yes you don’t have to be the best student for a PhD. However, the statement was to clarify that please get back to polish yourself and be the best.

      2. Hi Tanzia,

        Can you please reply in Bengali? What you mean by perspective student? Is it prospective student? What is mis conception? Is it a typo for misconception?

  1. I am a faculty member in an Australian University. I agree with Tanzia. It is true that many students from Bangladesh are enrolling for PhD in Australia without a prior Masters degree, especially in engineering. Most of them are struggling. In many cases supervisors and post-docs are helping them to the extra-ordinary lengths. Why some supervisors and post-docs are doing this? Because they don’t want give the impression to the university authority that they accepted the wrong PhD student in the first place. I suggest that anyone wants to do a PhD in British system universities (Australia, NZ, UK and most of the Europe), must complete a Masters or MS elsewhere as a prior step.

  2. To be honest, Tanzia, I completely agree with you. I don’t know about other countries, however, I have not seen anybody coming from Bangladesh (even from top universities from BD) did not suffer during PhD in Germany. It is certain that there is no unique standard for PhD all over the world, however, PhD in Germany, in general, is very difficult and you could explain with your description and PhD comics very well.

    Regarding English, by the way, we are not native speakers. Even, my colleague from USA (who is native) makes spelling mistakes.

  3. Dr. Mostafa has said it all, he hasn’t left nothing much to say. Kudos to his comment.

    However, still I’d like to mention that the tone of this write up is utterly condescending. You have to be in top 5% in the students of a professor’s lifetime! That can’t be far from truth. I know many PhD students/scholars who were not even in top 20% in their undergraduate class, let alone 5%. I think the reason behind that is in Bangladesh to earn high CGPA, one has to cram theories and formulas and regurgitate them in the exam, without properly understanding them. On the other hand, PhD is a completely different thing, where one has to create knowledge. This Facebook post explains this matter in a funny way: https://www.facebook.com/bilekasa.bilekasa/posts/1648819695359664?pnref=story

    I guess the author is struggling with her PhD, which is very usual in the first couple of years; but that can’t be a valid reason for demoralizing the aspirants. This platform has made its name for motivating students; I reckon this post is going to blemish that reputation to a great extent.

    1. Thank you for assuming. I feel lucky that my condition is not towards “দাগায়ে দেন” 🙂
      Frustration is there of course but for some other reasons. আমার ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনসহ আরো বেশকিছু নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির অফার আছে কিন্তু নিতে পারিনি ফান্ডের অভাবে। সেই আফসোস আছে বই কি ! আমার বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় ও যথেস্ট সমাদৃত তবে আমার রিসার্চ এর জন্যে আরো ভালো যায়গা ছিল। তবে বাংলায় লেখার একটাই কারণ, আমার সুপারভাইজরের চোখে পড়ুক তা চাই না। আমাকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি যা সচরাচর চোখে পরে না।
      লেখাটি মূলত লেখা হয়েছে বিশিস্ট জনতাদের জন্যে যারা না বুঝে পিএইচডির পথে পা বাড়ান। তার থেকেও বড়কথা নিজেকে তৈরী না করে পা বাড়ান এবং নিজের সাথে সাথে দেশের নামও কিছু তেতো বানিয়ে ছাড়েন।
      ছোট্ট দুইটি গল্প বলি, জীবন থেকে নেয়া…আমার কাছ থেকে এক শিক্ষার্থী অনেকবার LOM দেখিয়ে নিয়েছে এবং অনেক অনেক গাইডেন্স এর পরে সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার করতে বিদেশে আসে। সমস্যা হলো বিদেশে আসার পরে সমানে পরীক্ষায় ফেল করতে থাকলো এবং এক পর্যায়ে (আমার ধারনা, ভুলও হতে পারে…) সম্ভবত চেহারা দেখেই দয়া করে পাস করিয়ে বিদায় দেয়া হলো। তবে আমার মনে হয় না ওই জায়গায় সামনের ৪-৫ বছর কোনো বাংলাদেশী ছাত্র আর নেয়া হবে। এখন কন্ট্রাক্ট পিএইচডির কথা চলছে তার…যদি মাস্টার্স এর সময়কালীন অবস্থাই থাকে তাহলেতো পিএইচডি তো যাবেই রসাতলে আর সেই সাথে বাংলাদেশের নামটাও ডোবাবে।
      দ্বিতীয় ঘটনাটি আরো ক্লাসিক…এক ছাত্র কিভাবে ফর্ম পূরন করতে হবে ভর্তির তাই বোঝে না, অন্যকে পূরন করিয়ে শেষমেষ ভর্তি হলো। পরীক্ষার সময় আমাকে প্রশ্ন করে, আচ্ছা আপু নকল করার সুবিধা আছে কি? নাহলে তো পাশ করবো না। তার ২-৩ মাসের মাঝে একই বান্দা প্রশ্ন করে ফান্ডসহ পিএইচডি র এপলাই কোথায় কিভাবে করবো ?
      মোদ্দাকথা…পিএইচডি সবার করা উচিত না অন্তত এই দুই গল্পের বাস্তব উদাহরন কি যথেস্ট নয় ? আমাদের ব্লগে সব লেখা যে এত কড়া ভাষায় লেখা তা নয় তবে মাঝে মধ্যে তিতা করল্লারও দরকার আছে বই কি।
      ***আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই অনুপ্রাণিত এতো তর্ক বিতর্ক দেখে। অনেক কথাইতো বলা হয়-সবই যে ঠিক হবে এমনও কোনো কথা নেই। তবে, এমন বিতর্ক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের না বুঝে তর্কের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থকর বলেই আমি মনে করি। আমরা এই প্লাটফর্ম থেকে কেবল আশাই দিতে চাই না, বাস্তবতাও শেখাতে চাই। যাতে মাঝ পথে পিছলে না পরে কেউ।

  4. সহজ কথা গুলো সহজে লিখলেই বুঝতে সুবিধে হতো সবার। Dr.Kaji Mostafa ভাই ও zoro ভাইয়ের কথা গুলো শেয়ার না করলে অনেকের মনে কষ্ট থেকে যেতো। যারা মাস্টার্স করার যোগ্যতা রাখে তাদের এইভাবে হেয় করে লেখাটা কোন ভাবেই যৈক্তিক নয়। লেখিকার লেখার ধরনে বলনে মনে হলো মাধ্যমিক শ্রেণীর স্টুডেন্টদের কিছু শিখাচ্ছেন। একজন মাস্টার্স ডিগ্রী ধারী দেশের ফার্স্ট ক্লাস নাগরিকের মর্যাদা পায়। লেখিকার আরো সমীহ করে লেখা উচিত ছিল। বাংলাদেশের শিক্ষার ধরন, সুযোগ সুবিধা, পরিবেশ, জীবন মান সব কিছুতে বাধা থাকে। এক্সট্রা অর্ডিনারি হয়ে উঠার প্লাটফর্ম ও দরকার হয় রাষ্ট্রীয় ভাবে, সে সুযোগ কই।
    আপনারা প্রবাসীরা যারা উচ্চ শিক্ষার বা গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন, নিয়েছেন দয়া করে তেতো কথায় বুঝানোর চর্চা বর্জন করেন। যাদের উদ্দেশ্যে বলবেন তাদের তেতো কথা বুঝার বয়স কারো নেই,
    সমীহ করে সুন্দর ও সহজ ভাষায় সমস্যার কথা জানান ও পরামর্শ দিন।
    সবাইকে ধন্যবাদ…..

    1. দূর থেকে কাশবন ঘনই মনে হয়…আমরা যারা আজকে প্রবাসী কোনো একসময় দেশেই ছিলাম। দেশে বসে অনেক কিছুই অনেক ভাবে ভাবতাম যার বাস্তবতা অনেক বেশি কঠিন। লেখার উদ্দ্যেশ্য খুব সাধারন…যে চেষ্টা করবেন, তারা হিসাব নিকাশ করেই পা বাড়াবেন। ধন্যবাদ

Leave a Reply