প্রিয় পাঠক,

গতানুগতিকতার বাইরে এবারে সম্পূর্ণ অন্য একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বিষয় ছিল যার যার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে, তার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে লেখার। আমরা খুবই আনন্দিত যে অন্য যেকোন সংখ্যার চেয়ে এবার আপনাদের আশাতীত সাড়া পেয়েছি। একারণে আপনাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

এই সংখ্যার জন্য লেখা চেয়ে করা পোষ্টে রেনেসাঁসের কথা বলতে গিয়ে আমরা লিখেছিলাম, মধ্যযুগের পর ইউরোপ মহাদেশে শিক্ষা-দীক্ষা, মানবিক আচরণ, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, দর্শন, সমাজ, রাষ্ট্র, সাহিত্য, চিত্রকলা, ভাস্কর্য ও শিল্পের নানা ক্ষেত্রে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মনস্তাত্ত্বিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক মৌলিক পরিবর্তন সূচিত হয় যা রেনেসাঁ হিসেবে চিহ্নিত। মধ্যযুগের ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার এবং জীবনের গতানুগতিকতার বাইরে এই নবজাগরণের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার আঁধার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।

একটা জাতিগোষ্ঠী এই আঁধার হতে আলো নিয়ে কী করে প্রগতির পথে এগিয়ে যায় সামান্যে হলেও তার ছিঁটেফোটা এবারের লেখাগুলোতে আপনারা পাবেন। বিশ্বখ্যাত এমন ৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রোমাঞ্চকর ইতিহাস, এর প্রাঙ্গনে প্রাজ্ঞ মানুষদের পদচারণা, প্রতিষ্ঠাকালীন নানা চমকপ্রদ ঘটনা, বাংলাদেশিদের জন্য নানা সুযোগ এসবই সুভাষ্যে বর্ণিত হয়েছে লেখাগুলোতে। ব্যতিক্রম হিসেবে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক কিশোরের দৈনিক মাত্র ৪০ টাকা বেতনের টাকা দিয়ে কী করে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল তার সকরুণ অথচ সংগ্রামী ইতিহাসের কথা থাকছে।

আমাদের খুবই প্রত্যাশা এবারের সংখ্যার ভিন্ন আঙ্গিক ভিন্ন উপস্থাপনা আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগবে। প্রতিনিয়ত সেই ভাল লাগা বাড়াতে আমরা সচেষ্ট। একারণে আপনাদের মতামত, পরামর্শ সাগ্রহে গ্রহণ করতে আমরা ইচ্ছুক।

ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন (প্রায় 11.70 মেগাবাইট)

আশা করি, আমাদের এই পরিবেশনা আপনারা বরাবরের মত ভালবাসবেন। গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশনা আপনাদের ভালবাসার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আপনারাই আমাদের ম্যাগাজিনের প্রাণ! তাই যেকোন মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন (প্রায় 11.70 মেগাবাইট)

ধন্যবাদান্তে,

জার্মান প্রবাসে টিম

১৬ জুলাই ২০১৫

১ শ্রাবণ ১৪২২

অনিচ্ছাকৃত বানানভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আবেদন রইল।

——————————————————————–

চাইলে আপনিও লেখা/ছবি পাঠাতে পারেন!

**** আসছে বন্ধু দিবসে দেশি-বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে লিখুন ****

বলা হয়ে থাকে একজন মানুষের জীবনে দুটি জিনিস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধু ও জীবনসঙ্গী। এর মাঝে আবার বন্ধুর অবদান ব্যক্তি জীবনে অপরিসীম। কারন, প্রতিষ্ঠালাভের পূর্ব পর্যন্ত সংগ্রামী জীবনে বন্ধুরাই ছায়াসঙ্গী হিসেবে থাকে। কী আপদে কী বিপদে! ওদিকে জীবন যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন একে আরো পূর্ণতা দিতে আসে জীবনসঙ্গী। সুখী আর নির্মল জীবনযাপনের জন্য তাই একজন সৎ বন্ধুর তাই প্রয়োজন বিরাট।

আপনি বিদেশে থাকেন, দেশি বন্ধুর পাশাপাশি রয়েছে নানা দেশের অসংখ্য বিদেশি বন্ধু। তাদের সাথে ভাষা, সাংস্কৃতি, আচার, চিন্তাচেতনায় রয়েছে বিস্তর ফারাক। এরপরও বিদেশ বিভুঁইয়ে এরাই আপনজন। সেসব বন্ধুদের নিয়ে নিত্য ঘটে চলে নানা ঘটনা। একসাথে পড়ালেখা, খাওয়া, আড্ডাবাজি, ঘোরাঘুরি থেকে শুরু করে ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ইতিহাস প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তর্ক হয় হামেশা। আসছে আগস্ট মাসের ম্যাগাজিন আমরা সাজাতে চাই আপনার দেশি-বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে আপনার মূল্যায়ন, চিন্তাভাবনা আর দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া মজার ঘটনাসমূহ।

ডেডলাইনঃ ২৬ জুলাই, ২০১৫

লেখা পাঠানঃ [email protected]
অথবা পেজের ইনবক্সে পাঠানঃ www.facebook.com/pages/জার্মান-প্রবাসে/212610425614429
ছবির পাঠানোর জন্য বিস্তারিতঃ http://goo.gl/90IVlk
লেখার সাথে নাম ঠিকানা পেশা আর একটি ছবি অবশ্যই পাঠাবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ শুধু জার্মানি বা বাংলাদেশ থেকেই নয়, যেকোন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাদর আমন্ত্রণ আমাদের ম্যাগাজিনে! তাই আমাদের ম্যাগাজিনে লিখতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ বা জার্মানিতেই থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই!

জার্মান প্রবাসে আড্ডা দিতে চাইলেঃ www.facebook.com/groups/BSAAG/(৪৫,০০০+ মেম্বার্স)

——————————————————————–

অনলাইনে পড়তে চাইলেঃ

mm

By Debjani Ghosh

চিফ এডিটরঃ জার্মান প্রবাসে ম্যাগাজিন। বর্তমানে EWS, Ulm University তে পিএইচডি রিসার্চার হিসেবে কর্মরত। রিসার্চ টপিক "ইলেক্ট্রিক ফ্লাইট"। মাস্টার্স করেছি ইলেক্টিক্যাল পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, RWTH Aachen University তে।

One thought on “জার্মান প্রবাসে ম্যাগাজিন – জুলাই ২০১৫ – “জ্ঞানের সূতিকাঘর””

Leave a Reply