সুজন ফাউন্ডেশনের শিক্ষাঋণ পেতে ন্যূনতম কিছু পূর্বশর্ত পূরণ করতে হবে যা নিম্নে লিখিত। 

১। জার্মানিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বয়স সর্বোচ্চ ৩২

২। ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের থিসিস রেজিস্ট্রেশন না থাকলেও  থিসিসের আগে প্রয়োজনীয় ক্রেডিট সম্পন্ন থাকা বাধ্যতামূলক। 

৩। থিসিসের আগে বিষয়ভিত্তিক গড় সিজিপিএ ২.১ হতে হবে

৪। থিসিস চলাকালীন সময়ে চাকরি বা হিভি জব থাকলে তার ইনকাম মাসিক ৪০০ ইউরোর বেশি হওয়া যাবে না

৫। ব্যাংক ডিপোজিট ৮০০ ইউরোর বেশি থাকা যাবে না 

৬। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের প্রমাণভিত্তিক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে

৭। কোন ধরণের অসামাজিক, অন্যায্য, অসদাচারণ, আইন-বহির্ভূত, বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধ  নিয়ে কোন ধরণের বিরূপ কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্টতা থাকা যাবে না

৮। শারীরীক বা বুদ্ধিগত দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে 

৯। ঋণ পাওয়ার লক্ষ্যে জার্মান প্রবাসে বা সুজন ফাউন্ডেশনের কারো সাথে কোন ধরণের ব্যক্তিগত যোগাযোগ অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে

১০। ব্যাচেলর হলে সর্বোচ্চ ১০ম আর মাস্টার্স হলে সর্বোচ্চ ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে

১১। বিসাগ, জার্মান প্রবাসে বা সুজন ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত কেউ আবেদন করতে পারবে না

যে সমস্ত পেপারস জমা দিতে হবেঃ

১। বিস্তারিত সিভি

২। মোটিভেশন লেটার

৩। ছাত্রত্ব প্রমাণের সনদ (ম্যাট্রিকুলেশন বেশাইনিগুং)

৪। জার্মানিতে ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের আপ-টু-ডেট রেজাল্ট শিট

৫। থিসিস রেজিস্ট্রেশন কনফার্মেশন

৬। গত তিন মাসের সবগুলা ব্যাংক স্টেটমেন্টস

৭। ভিসা কার্ড (আউফেনথালস) ও পাসপোর্ট কপি

৮। সুফা (ফ্রি সুফা)- https://www.meineschufa.de/

৯। যেকোন যোগাযোগের জন্য রেফারি হিসেবে একজনের নাম ইমেল, মোবাইল নাম্বার

১০। সবগুলো ফাইল পিডিএফ আকারে জনা দিতে হবে এই ইমেইলেঃ [email protected]

**শিক্ষার্থীর দেওয়া ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস সর্বোচ্চ গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা হবে। আবেদন পত্র বাতিল হলে সেসব ডকুমেন্টস স্থায়ীভাবে রিমুভ করে দেওয়া হবে। যাঁদের আবেদন গৃহীত হবে তাঁদের ডকুমেন্টস সংরক্ষিত থাকবে যতদিন পরিপুর্ণভাবে ঋণ প্রদান ও ফেরত সমাপন না হয়। 

আবেদন গৃহীত হলে করণীয়ঃ

আমাদের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ সততা আর নিরপেক্ষতার সাথে প্রতিটি আবেদন যাচাই করে প্রাথমিকভাবে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে এই ঋণ প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীর প্রয়োজন বুঝে মাসিক ২০০ বা ৩০০ ইউরো সর্বোচ্চ তিনমাসের জন্য প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীর ভিসা স্ট্যাটাস বা পড়ালেখার আপডেট জানার লক্ষ্যে নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে থাকতে হবে। ফুল টাইম জব পেলে বা পড়ালেখা শেষে দেশে ফেরত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দ্রুত আমাদের জানাতে হবে। এরপর এই শিক্ষাঋণ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

***উল্লেখিত আবেদন প্রক্রিয়ার নিয়মাবলী যেকোন সময় সংশোধনের অধিকার জার্মান প্রবাসে সংরক্ষণ করে।  

যেকোন ধরণের প্রশ্ন, মতামত দিতে যোগাযোগ করুনঃ  

[email protected]

https://www.facebook.com/groups/759444367788441/

mm

By Jahid Kabir Himon

এডিটর (Editor): জার্মান প্রবাসে মাস্টার্স in Internet Technologies And Information Systems Leibniz University Hannover বর্তমানে বার্লিনের একটি কোম্পানিতে রোবটিক্স প্রোসেস অটোমেশনে (RPA) কাজ করছি

One thought on “সুজন ফাউন্ডেশনের শিক্ষাঋণ পেতে আবেদন প্রক্রিয়া”
  1. আমি খুব নিরুপায়। কিরে আসবো জদি কোন ইমু নামবার পেতাম।তাহলে সব খুলে বলতে পারতাম।আপনার অনেক পরামর্শ খুব ভালো লগলো।

Leave a Reply