ভিসা পাবার পর প্রথম যে কাজটার জন্যে দৌড়া দৌড়ী শুরু করলাম তা হল প্লেন এর টিকেট কাটা। গ্রুপ এর পোস্ট দেখে আর ব্লগ পরে যা বুঝলাম তা হল স্টুডেন্ট ইউনিভার্স*(https://www.studentuniverse.com/)
কম খরচে টিকেট কাটার জন্যে নির্ভরযোগ্য. তারপরও খোঁজ খবর নিলাম টার্কিশ এয়ারলাইন এর ওয়েব সাইটে দেখি ঢাকা থেকে হামবুর্গ এর টিকেট এর দাম ৭২১ ডলার কিন্তু স্টুডেন্ট ইউনিভার্সে মাত্র ৫৩১ ডলার। যেই কথা সেই কাজ ৫৩১ ডলার দিয়ে কেটে ফেললাম। কিন্তু টিকেট কাটার শুধু কিছু কোড আর নাম্বার পেলাম কোণটা টিকেট আর কোণটা কি কিছুই বুজতে পারছিলাম না।আমার এক বন্ধু টিকেট কেটেছিল কাতার এয়ার লাইন্স এর সেও কিছু কোড আর নাম্বার পেয়েছিল। সে সেগুলো দিয়ে কাতার এর ওয়েব সাইট থেকে ই-টিকেট সিট নাম্বার আর মিল প্রিফারেন্স ঠিক করতে পেরেছিল। কিন্তু আমি টার্কিশ এর ওয়েব সাইট থেকে কিছুই বুজতে পারছিলাম না। তাই প্রথমেই যে কাজ তা করলাম স্টুডেন্ট ইউনিভার্সে মেইল([email protected])
এরপর আমি টার্কিশ এর ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/turkishairlines/) আস্ক করলাম যে আমি কি এডভান্স সিট অ্যান্ড মিল প্রিফারেন্স দিতে পারব নাকি ওরা আমার কাছে টিকেট এর ডিটেল জানতে চাইলো সাথে মিল সিলেক্ট করার জন্যে একটা ওয়েব পেজ(http://www.turkishairlines.com/en-int/travel-information/on-board-inflight-communication-entertainment-audio-video/special-meal-service) দিল। এখন আমার মত যারা জীবনে প্লেনে উঠে নাই তাদের জন্যে প্লেন এর সিট সিলেক্ট করার কাজ টা অনেক কঠিন। টিকেটে প্লেন নাম্বার দেয়া ছিল সেই নাম্বর দিয়ে সিট গুরুর ওয়েব সাইটে(https://www.seatguru.com/) সার্চ করতেই পুরা প্লেন এর সিট প্লেন চলে আসল। সেখান থেকে সিট দেখে আর মিল প্রিফারেন্স এর লিঙ্ক থেকে মিল সিলেক্ট করে টার্কিশ এর ফেসবুক পেজে জানাতেই তারা আমার জন্যে নির্ধারিত সিট আর মিল বুক করেছে বলে মেসেজ দিল। এখন শুধু ফ্লাইট এর দিন আগে আগে সব কাগজ নিয়ে টার্কিশ এর কাউন্টারে গেলেই সিট পাবার কথা।করে রিকোয়েস্ট করলাম আমাকে ই-টিকেট পাঠাতে মেইল এর একদিনের মদ্ধে ওরা আমাকে ই-টিকেট পাঠিয়ে দিল।