গত কয়েকমাস ধরে আপনারা অনেক প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে গ্রুপে প্রশ্ন করেছেন, আলোচনা করেছেন এবং অন্যরা সবাই মিলে উত্তর করেছে। আমরা দেখছি, আপনাদের হতাশা, দেখেছি আপনাদের সাফল্য। আসলে মানুষকে সাহায্য করার মাঝে যে কী পরিমাণ আনন্দ, তার তুলনা কোন কিছুতেই হয় না। অনেকেই ভিসা পেয়েছেন বা সামনে পাবেন। তাই একটা ছোট অনুরোধ!

বিজ্ঞপ্তিঃ যদি এই আন্দোলনে আমাদের সাথে যোগ দিতে চান, তবে যোগাযোগ করুন! যেকোন প্রশ্ন/সাজেশনের জন্য ইমেল/মেসেজ পাঠানঃ [email protected] বা ফেসবুক পেইজে! ধন্যবাদ।

জার্মানিতে আসার প্রাথমিক ধাপ পূরণ করে সবাই নিজের কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়ে যাবেন, সেই আশাই করি। তবে জার্মানিতে আসার পরপরই আমরা দেখেছি অনেকেই বেমালুম ভুলে যান সঠিক তথ্যের জন্য নিজেদের প্রাণান্ত সংগ্রামের কথা। ভুলে যান, কীভাবে এই গ্রুপ/ওয়েবসাইট/অর্গানাইযেশন আপনাকে এগিয়ে নিয়েছে সে কথা। অথচ আপনার দায়িত্ব কিন্তু এরপরের ব্যাচকে সাহায্য করা। পরবর্তীতে সেই ব্যাচ সাহায্য করবে তাঁর পরের ব্যাচকে। এভাবেই একটা সুস্থ ধারা অব্যাহত থাকে।

মনে রাখবেন, দিনের পর দিন তিন বা চারজন মানুষ দিয়ে সফল এবং সুস্থভাবে একটা গ্রুপ/ওয়েবসাইট/অর্গানাইযেশন চলতে পারে না। এরফলে একসময় “অটোক্রেটিক”/”স্বৈরাচারী” মনোভাব চলে আসে, কিংবা তৈরি হয় মেহেদি হাসানের মত এজেন্সি/দালাল। এর প্রচুর প্রমাণ আমরা পেয়েছি বিভিন্ন সময়, বিভিন্নভাবে। এটা আপনাদের নিষ্ক্রিয়তারই ফল! এর দায় আপনারও!

প্রতিদিন পাঁচটি মিনিট গ্রুপে ব্যয় করলে কি আপনার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে? চক্ষুলজ্জার খাতিরেই নাহয় আসলেন। ব্যস্ততা কি আমাদের নেই?

তাই আমরা চাই, আপনারা এগিয়ে আসুন। একদিন এরকম সময় আসুক যখন কিছু করার জন্য আমাদেরকে আর প্রয়োজনই হবে না। দিনে ৫ টা মিনিট নিজের “নিউজফিড” কে স্ক্রল আপ/ডাউন কমই না হয় করেলেন। 🙂

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা। সবার জার্মান জীবন সফল হোক।

বিঃ দ্রঃ জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা আছে আমাদের। আপনার নাম না থাকলে যোগ করে নিন এখানেঃ https://goo.gl/mmGZTk


শিরোনামটি “প্রিয়তমাসু (সুকান্ত ভট্টাচার্য) থেকে ধার করা। তাঁর কবিতাটি দিয়েই শেষ করলাম। 🙂
…..  …..  …..  …..
…..  …..  …..  …..    …..
তবু লিখছি তোমাকে আজঃ লিখছি আত্মম্ভর আশায়

ঘরে ফেরার সময় এসে গেছে।
জানি, আমার জন্যে কেউ প্রতীক্ষা ক’রে নেই
মালায় আর পতাকায়, প্রদীপে আর মঙ্গলঘটে;
জানি, সম্বর্ধনা রটবে না লোক মুখে,
মিলিত খুসিতে মিলবে না বীরত্বের পুরস্কার।
…..  …..  …..  …..
…..  …..  …..  …..  …..
প্রশ্ন করো যদি এত যুদ্ধ ক’রে পেলাম কী? উত্তর তার-
তিউনিসিয়ায় পেয়েছি জয়,
ইতালীতে জনগণের বন্ধুত্ব,
ফ্রান্সে পেয়েছি মুক্তির মন্ত্র;
আর নিষ্কণ্টক বার্মায় পেলাম ঘরে ফেরার তাগাদা।
আমি যেন সেই বাতিওয়ালা,
সে সন্ধ্যায় রাজপথে-পথে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে
অথচ নিজের ঘরে নেই যার বাতি জ্বালার সামর্থ্য,
নিজের ঘরেই জমে থাকে দুঃসহ অন্ধকার।।



  • বিজ্ঞপ্তিঃ যদি এই আন্দোলনে আমাদের সাথে যোগ দিতে চান, তবে যোগাযোগ করুন! যেকোন প্রশ্ন/সাজেশনের জন্য ইমেল/মেসেজ পাঠানঃ [email protected] বা ফেসবুক পেইজে! ধন্যবাদ।
mm

By Rashidul Hasan

Founder and currently coordinator of the largest community platform of Bangladeshi people in Germany, named ''Bangladeshi Student and Alumni Association in Germany'' (www.facebook.com/groups/BSAAG) and GermanProbashe.

10 thoughts on “তবু লিখছি তোমাকে আজঃ লিখছি আত্মম্ভর আশায়”
  1. বাংলাদেশে অবস্থান করেও সহশ্র মাইল দুরের একটা দেশের আপডেট পাচ্ছি অনবরত । সেটা শুধু আপনাদের মত মহৎ ব্যাক্তিদের জন্য। Really you are the GREAT! I Salute You! One day I will join with you! Insha Allah

  2. vya eurasia institute of german unara ki student nae? i mean ami unader message dae thn unara amak bole j amr documents send korte .vya ami ki dbo?

  3. আমি আপ নার গ্রুপএর একজন member কিন্তু আমি এই গ্রুপএ কোন কিছু post করতে পারি না, যদি help করতেন

Leave a Reply