বাবার ইচ্ছা ইউএসএ অথবা ইউকে যাবো পড়তে। আমারও তেমন মানা ছিল না। হঠাৎ করে বিসাগের দেখা পেলাম। গ্রুপে অ্যাড হলাম। ফাইল পড়ে, বড় ভাইয়া আপুদের সাহায্য করার অফুরন্ত ইচ্ছা দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম জার্মানি যাবো। অবশ্য আরও একটা সিক্রেট আছে ।
ফার্মাসি/ফার্মেসি(Pharmacy) স্টুডেন্টরা বেশিরভাগ সময়ই কোর্স খুঁজে পায় না। আবার অনেকে সরাসরি এম. ফার্ম এ পড়তে যেতে চায়। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা এম. ফার্মে পড়তে পারে না। এর জন্য একটা স্টেট পরীক্ষা দিতে হয় আর এটা শুধু জার্মানরাই দিতে পারবে। যাই হোক, তাহলে কোর্স কিভাবে সিলেক্ট করতে হবে? সামার এ খুব একটা সুযোগ না থাকলেও উইন্টারে অনেক সাবজেক্ট আছে। ফার্মেসি(Pharmacy) স্টুডেন্টরা কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার মেডিসিন, বায়োটেকনোলজি, মলিকুলার বায়োটেকনোলজি, নিউরোসাইন্স, বায়োলজি, মলিকুলার বায়লজি বিভিন্ন বিষয়ে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারে। আমি যতটুকু দেখেছি বেশ বড় ডাটাবেজ ডিএএডি এর (https://www.daad.de/deutschland/studienangebote/international-programs/en/)
এখানে ন্যাচারাল সাইন্স অপশন সিলেক্ট করতে হবে। আমি অনেকগুলো সাবজেক্টে অ্যাপ্লিকেশন করেছিলাম, এর মাঝে একটা বাদে সব ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাডমিশন এসেছে। ইউনিভার্সিটিগুলো হলোঃ
- Technical University Munich– Nutrition and Biomedicine
- Technical University Dresden- Regenerative Medicine and Biology
- Friedrich Schiller University of Jena– Msc. Biochemistry
- University of Bremen– Msc. Neurosciences
- Georg-August-Universität Göttingen– MSc. Molecular Medicine
এছারাও আরও কিছু ভালো ইউনিভার্সিটি আছেঃ
- RUHR-UNIVERSITY BOCHUM– Msc. Biochemistry
- Friedrich-Alexander-Universität Erlangen-Nürnberg- MSc. Molecular Science
আরও আছে একটু খুঁজে দেখলেই হবে। প্রথমে ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভালো করে তাদের রিকয়ারমেন্টস পড়ে দেখেছি। যেগুলো ম্যাচ করেছে সেইসব ইউনিভার্সিটি এ প্রথমে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করে তারপর পেপারস সেন্ড করেছি। উল্লেখ্য সব ইউনিভার্সিটি পেপারস সেন্ড করতে বলেনি। অ্যাডমিশন হওয়ার পরে সেন্ড করতে বলেছিল। ইউনিভার্সিটি এর সিলেকশন প্রসেস যার যার আলাদা। কিন্তু সব ইউনিভার্সিটিই সিজিপিএ, ব্যাচেলর কোর্স প্রোগ্রাম আর মোটিভেশন লেটার এর উপর অনেক প্রাধান্য দেয়। মেইনলি এই তিনটা দিকেই তারা বেশি খেয়াল করে। প্রতিটা সাবজেক্ট এর মোটিভেশন লেটার ভিন্ন এবং ইউনিক হলে ভালো হয়।
এক্সট্রা কোয়ালিফিকেশন, যদি কোন সাইন্টিফিক পাবলিকেশন থাকে সেটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। প্র্যাক্টিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটাও উল্লেখ করা ভালো। যেহেতু এটা প্র্যাক্টিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চ সেক্টর তাই এগুলোর প্রাধান্য খুব বেশি।
অ্যাপ্লাই করার এক থেকে দুই মাসের মাঝে আমার সব ইউনিভার্সিটি এর রেজাল্ট চলে আসে।
আর একটা কথা, আমি যখন গ্রুপে পোস্ট করা শুরু করি তখন থেকে ইনবক্স এ অনেক ডাক্তাররা(Doctor) আমাকে প্রশ্ন করেন, ফার্মেসি(Pharmacy) থেকে আমি কিভাবে নিউরোসাইন্স এ অ্যাডমিশন পেলাম? ফার্মেসি থেকে কি নিউরোসাইন্স এ পড়া যায়? জ্বি যায়, আমি অ্যাডমিশন পেয়েছি, আমার জানামতে আরও একজন ভাইয়া এই উইন্টারেই অ্যাডমিশন পেয়েছেন।উনিও ফার্মেসি থেকেই। তারমানে অ্যাডমিশন পাওয়া যায়।
তাহলে, যারা ফার্মেসি থেকে মাস্টার্স করতে চান তাঁরা এই ইউনিভার্সিটিগুলোতে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারেন সাথে আরও অনেক ইউনিভার্সিটি আছে, ডিএএডি থেকে দেখে নেবেন। সিজিপিএ আর মোটিভেশন লেটারটা ভালো হলেই আশা করি সবাই অ্যাডমিশন পাবেন ইনশা’আল্লাহ!
বি়. দ্র. লেখাটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।