আমি প্রথম যে স্কলারশিপ/বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাই, সেখানে এশিয়ার পার্টনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কোটা ছিল, যেখানে মজার বিষয় বাংলাদেশের পার্টনার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু শিক্ষার্থী হতে হবে সিভিল প্রকৌশল থেকে, তাই বাংলাদেশে থেকে কোটা ভিত্তিক স্কলারশিপ কেউ পায়নি। আমরা বাংলাদেশ থেকে ২ জন যাওয়ার পরে দেখলাম নেপাল, শ্রীলংকা কিংবা অন্যান্য দেশ থেকে আমাদের তুলনায় সংখ্যা অনেক বেশি, শুধুমাত্র নেপাল থেকেই ছিল সবমিলিয়ে (পিএইচডি, মাস্টার্স, পোস্ট-ডক্টরাল)৭-৮ জন এর মত। কারণ তারা সকল ধরনের কোটা সুবিধা ব্যবহার করতে পেরেছিল, আমাদের মত উচ্চ পর্যায়ের Policy Maker দের উদাসীনতা ছিলনা (যেমন-শিক্ষার্থী হতে হবে প্রকৌশলী কিন্তু পার্টনার হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

সত্যি কথা বলতে, তখন আমরা বাংলাদেশি ২জন আক্ষেপ করে বলতাম, অন্য দেশের যে মানের শিক্ষার্থী আমাদের সাথে সুযোগ পেয়েছে তাদের চেয়ে অনেকগুণে ভাল শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে বেকার থাকতে হয়, পথে পথে ঘুরতে হয় ভাল চাকরির অভাবে, কিংবা তার যে সম্ভাবনা ছিল সেখানে সে পৌছাতে পারেনা যথার্থ Guideline এর অভাবে।আবার যেখানে সম্ভবনা আছে সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা সঠিক তথ্য Scholarship/বৃত্তি Link, Application Period, Application Procedure ইত্যাদি না জানা থাকায় পৌছাতে পারছেনা। অনেক ভুল ধারনা মনের মধ্যে চেপে থাকায় আমরা হয়ত চেষ্টাটুকু করার আগেই হতাশ হয়ে বসে থাকি (যেমনঃ ইংরেজিতে একটু দুর্বল অনেকেই ধরে নেই IELTS ভাল মার্কস না থাকলে মনে হয় কোন চান্সই নেই, কিন্তু বাস্তবে অনেক স্কলারশিপে হয়ত IELTS দরকার হয় তবে IELTS মার্কস স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়না), তাই যোগ্যতা থাকার পরেও হতাশা বা চেষ্টার অভাবে কিছু হয়না।

Erasmus Mundus Association এর দায়িত্ব নেওয়াটাও ছিল কিছুটা আবেগ থেকে, আমাদের দেশে প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের তুলনায় সংখ্যা ও মানের দিক থেকে অনেক বেশি ভাল শিক্ষার্থী থাকার পরেও কেন আমরা পিছিয়ে যাব!!! সেকারণে Erasmus Mundus Association শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে scholarship/বৃত্তি এর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে আসছে। Erasmus Mundus Scholarship/বৃত্তি (provided by European Commission, undoubtedly world’s best funded, quality and attractive scholarship) এ ১৫০ টির মত Masters ও PhD Program আছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ২০১৩ সালে ৫৩ জন Scholarship/বৃত্তি পেয়েছিল, ২০১৪ সালে ৯৭ জন, সংখ্যাটা আশা করি ২০১৫-১৬ সালে ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।

আমি চাই সংখ্যাটি বাড়বে, কিন্তু কীভাবে?

Need proper guideline & effort.
To know in detail, you can join the seminars!

উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশব্যাপী সেমিনার! আপনি আসছেন তো!

mm

By Ram Krishna Mazumder

• Assistant Professor, IEER, CUET • Ambassador, Erasmus Mundus Association, Bangladesh

Leave a Reply