অনেকক্ষণ ভূমিকা খুঁজলাম , কিছু মাথায় আসে নি। তাই ভুমিকা ছাড়াই শুরু। 😉
যারা বাইরে আসছেন পড়াশোনা করতে , তাদের প্রশ্ন-বানের(!) মধ্যে একটা কমন প্রশ্ন খুঁজে বের করলাম ।-“আমি ব্যাচেলর করছি,মাস্টার্স জার্মানিতে করতে চাই ,কিন্তু ইয়ার গেপ দিতে চাই না, ইমিডিয়েটলি কি আসা যায় আপু ?? ” । আর আমার একই উত্তর, চিন্তা করিয়েন না ভাই – ইমিডিয়েটলি আসতে পারবেন যদি প্রসেসিং আগে থেকে শুরু করেন ! এখন কথা হলো কি সেই প্রসেসিং? কি করে তাহাকে স্টাট দেবো এ গেবনে !

শুধু আমার অভিজ্ঞতার কথাটাই বলছি এখানে। ব্যাচেলর শুরু করি ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারীতে। আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ সেমিস্টার না, ইয়ার সিস্টেম চলে। তাই এখানের হিসাবগুলো ইয়ারের মত করে বলছি। ২০১১, 3 rd ইয়ার চলাকালীন সময়ে আমার মনে বাইরে আসার বাসনা জাগে (!)। এরপর সেই হিসেবে ইন্টারনেটে ঘাটা-ঘাটি, খোঁটা-খুঁটি । বাইরের ভার্সিটির লিস্ট দেখা, সাবজেক্ট খোঁজা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার এখনো মনে আছে , গুগল স্ট্রিট ভিউএর কল্যাণে, ভার্সিটি দেখতে যেয়ে আমি ৩/৪ ঘন্টা জার্মানির রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে বেড়াতাম  😀 ।

ব্যাক টু মূল কথা। বুঝতে পারলাম যাই করতে যাই না কেন, IELTS নামক “Pain of the World” থেকে মুক্তি চাই আগে। প্রিপারেশন নেয়া শুরু হলো 4 th ইয়ার, ২০১২ এর জানুয়ারী থেকে। জানি, এত সময় লাগে না IELTS এর প্রিপারেশন নিতে, বাট নট টু ফরগেট , তখনও ব্যাচেলর চলতেছে ! প্ল্যান হচ্ছে 4 th ইয়ারের সামার ভ্যাকেশনে (জুন) IELTS দেয়া। সেই মত কাজ, জুলাই এ রেজাল্ট এবং পেইন থেকে মুক্তি !!

সেই বছরের অক্টোবরে আমার ব্যাচেলর এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ  এবং নভেম্বর থেকে ভার্সিটিতে এপ্লাই শুরু। কারণ পেন্ডিং রেজাল্ট দেখিয়েও আবেদন করা সম্ভব , সেখানে সিস্টেম হলো – আগের সব ট্রান্সক্রিপ্ট শো করতে হবে (যেগুলো আছে), ওগুলার উপর ভিত্তি করে ফাইনালি ‘এক্সপেকটেড CGPA’ জানাতে হবে আর ফাইনাল রেজাল্ট পাওয়ার  এক্সপেকটেড ডেট জানাতে হবে। আর আরেকটা বিষয়, আমি ২০১২ এর ডিসেম্বর এ এপ্লাই করি ২০১৩ এর উইন্টার (যেটা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়) সেমিস্টার এর জন্য। আমি যা বুঝি, তাতে এরকম এক ইয়ার ইন্টারভ্যালেই প্রসেস করতে হয়। সামার সেমিস্টার সম্পর্কে ‘NO IDEA’ ,কারণ আমি কোথাও সামারে এপ্লাই করি নাইক্কা।

রেজাল্ট হাতে পাই ২০১৩ ফেব্রুয়ারীতে। আর উইন্টার সেমিস্টারে এপ্লাই করলে এমনিতেও ওরা ডিসিশন মার্চ এর দিকে জানায়। সুতরাং মার্চ এর মধ্যেই ওদের কাছে আবার মেইল পাঠালাম, ‘ফাইনাল ট্রান্সক্রিপ্ট পাইছি, আগের গুলার সাথে স্টেপলার কইরা লন 😉 ‘ । মার্চ এর শেষের দিকে ওরা ‘হো’-সুচক রিপ্লাই দেয়। এডমিশন লেটার হাতে পাওয়ার পর শুরু ভিসা যুদ্ধ, কপাল ভালো থাকলে এক-দুই মাস ওয়েটিং ফর ইন্টারভিউ ডেট, এরপর আরো এক-দুই মাস ওয়েটিং ফর ভিসা। নরমালি, ভিসার ইন্টারভিউ দেয়ার পর ১ মাস লাগে ভিসা পেতে। কিন্তু আমাকে তাহারা এক্সট্রা কেয়ার করার কারণে(!), ফেলোশিপ থাকা স্বত্তেও দুই মাস পর, অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ভিসা হাতে পাই এবং ২০১৩ এর ওই মাসেই জার্মানি উড়াল দেই। আমার ভিসা কাহিনী নিয়ে আরেকখান অধ্যায় লেখবানে! 😉

টাইম শর্টেনিং এর ব্যাপারে অনেক আইডিয়া থাকতে পারে,কোনো সন্দেহ নাই। আর আমারটাই যে বেস্ট আইডিয়া, সেটা ভেবে মহাভারতের মত ফলো করার কোনো কারণ নাই। জাস্ট জেনে রাখেন ,যদি মনে হয় যে আপনার সাথে স্যুট করে তাহলে ফলো করে দেখতে পারেন। 🙂

mm

By Afroza Irin

রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করছি Fraunhofer SCAI তে, পড়ছিঃ মাস্টার্স, Life Science Informatics, Rheinische Friedrich-Wilhelms-Universität Bonn, থাকিঃ Bonn, Germany তে।

3 thoughts on “টাইম ছোট-করণ”
  1. লিখাটা পরে অনেক ভালো লাগলো। আমি KUET এ 4th yr এ আছি। ইনশাল্লাহ একটা ট্রাই করে দেখব… by the way Thanks #Afroza_api

  2. আপু আপনি uiniassist এর মাধ্যমে করেন নি? যত university দেখেছি daad এ, সবগুলোতেই uniassist এর কথা বলা হয়েছে। undergraduate transcript and IELTS score and university cchoose এর পর প্রথম step টা কি হওয়া উচিৎ?

Leave a Reply to Rizvi Cancel reply