গত বুধবার দুপুরে কন্টিনেন্টালে ইন্টারভিউ শেষে আইসিই ট্রেনের জন্য নুর্নবার্গ স্টেশনে অপেক্ষা করছিলাম। মধ্য বয়স্ক একজন মহিলা আমাকে জার্মানে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কাছে ৫০ সেন্ট হবে?”
আমি জার্মানে বললাম, “৫০ সেন্ট দিয়ে কি করবেন??
তিনি ইংরেজিতে ব্যাখ্যা করলেন, কেন তার ৫০ সেন্ট দরকার।

কি আজব দেশ! সহায় সম্বলহীন মানুষও ইংরেজিতে কথা বলে, অথচ বড় বড় কোম্পানির বসেরা জার্মান ছাড়া কথা বলতেই চায় না!

উপরের গল্প শোনার পর এখানকার এক বাঙালি বন্ধু মন্তব্য করল, “বাস্তবতা এমনই নির্মম, ভায়া। তোমাকে ওদের দরকার হলে ওরা তোমার ভাষায় কথা বলবে। কিন্তু তোমার ওদেরকে প্রয়োজন হলে ওরা জার্মান ছাড়া মুখই খুলবে না।”

ওর কথায় যুক্তি আছে। নিজেদের ভালো ভবিষ্যতের দায় আমাদেরই। কোম্পানিগুলোর অনেক অপশন আছে, তাই ওরা জার্মানের ব্যাপারে তেমন একটা ছাড় দেবে না। সেজন্যই বলছি- চলো, ভালভাবে জার্মান শিখি।

আরো পড়তে পারেন- 

জার্মানির পুলিশ স্টেশনে একদিন

জার্মান আদব শিক্ষা 🙂

জাতীয় পতাকা ইস্যু

আজব পৃথিবী তার চেয়েও আজিব এই পৃথিবীর মানুষ।

mm

By Shariat Rahman

আমি বর্তমানে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্সে সায়েন্টিফিক এসিস্ট্যান্ট (Wissenschaftlicher Mitarbeiter) হিসেবে কাজ করছি। ২০০৯ সালে বুয়েট থেকে আইপিইতে ব্যাচেলর আর ২০১২ সালে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্স থেকে বায়োনিক্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। অবসর সময়ে সোস্যাল মিডিয়া, আড্ডাবাজি আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি।

Leave a Reply