বাসে চেপে অন্য শহরে যাচ্ছিলাম। পাশের সিটে এক ইন্ডিয়ান ভদ্রলোক এসে বসল। সে নিজ থেকেই ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করল। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ৬ বছর ধরে এখানকার এরোস্পেস কোম্পানিতে কাজ করেছে সে। স্থায়ীভাবে জার্মানিতে থাকার অনুমতি আছে তার। মে মাস থেকে একটা অটোমোটিভ কোম্পানিতে জয়েন করবে। বছর দুয়েক পরে দেশে ফিরে অটোমোটিভ সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা তার।

কারণ জিজ্ঞেস করতেই বলল, “আমি ও আমার বউ আমাদের বাবা-মার একমাত্র সন্তান। বৃদ্ধ বয়সে তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিতেই আমরা দেশে ফিরে যাব।”
তার কথা শুনে থ মেরে গেলাম।
সে আরও বলল, “বৃদ্ধ বাবা-মার পাশে থাকতে না পারলে এ জীবনের কোন মানে নেই।”

সত্যি বলতে কি, এর আগে কাউকেই এমনটি বলতে শুনিনি। বরঞ্চ সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করে এখানে যতদিন সম্ভব থেকে যাওয়ার।

দুনিয়া বড়ই বিচিত্র জায়গা!

mm

By Shariat Rahman

আমি বর্তমানে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্সে সায়েন্টিফিক এসিস্ট্যান্ট (Wissenschaftlicher Mitarbeiter) হিসেবে কাজ করছি। ২০০৯ সালে বুয়েট থেকে আইপিইতে ব্যাচেলর আর ২০১২ সালে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্স থেকে বায়োনিক্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। অবসর সময়ে সোস্যাল মিডিয়া, আড্ডাবাজি আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি।

Leave a Reply