“এই বছরের আর দুইদিন বাকি, আর আমার জীবনের সবচেয়ে কম প্ল্যান করা ট্রিপ আমি করসি এই বছরে,ঢাকা থেকে স্টকহোমে।পুরা ব্যাপারটা নিয়ে লিখতেসি তাই পোস্ট লম্বা হবে।তবে এটা একেবারেই কোন মোটিভেশনাল পোস্ট না।আমি যা ফিল করসি তাই লেখার চেষ্টা করতেসি।আমি অনেকদিন ধরে চেষ্টা করতেসিলাম দেশের বাইরে একটা জবের।ফুল টাইম চাকরি করার পর ফ্রি যে সময় পাইসি তা দিয়ে হয় আমি ঘুরতে গেসি নয় জব খুঁজসি,আর ইন্টারভিউ প্রিপারেশন নিসি।আমি জানতাম না আমি যা চাচ্ছি আমার সেই যোগ্যতা আছে কিনা,আদৌ কখনো আমি এটা পাবো কিনা,আমি শুধু একটা জিনিস ভাবতাম যে আমি ট্রাই করে যাবো।আমি কোন টেক জায়ান্টে জব পাওয়ার মত মেধাবী নই,আমার চাওয়া ছিলো রিলোকেশন সাপোর্ট দেবে এমন কোন কোম্পানিতে জব পাওয়া।সেটাতেও আমার নিজের যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়ে আমি খুব সন্দেহে থাকতাম।

২০১৯ থেকে একা একটা বাসায় থাকা শুরু করলাম।জব এপ্লাই করি,সুন্দর ভাষায় লেখা রিজেকশন এর মেইল গুলা পড়ি,হোপলেস হয়ে বসে থাকি ২-১ দিন,আবার জব এপ্লাই করি।মাঝে মাঝে কিছু ইন্টারভিউ কল পাই,তাতে ও বেশি আগাতে পারিনা।পরের দিন আবার মহাখালীর জনবহুল রাস্তায় পাবলিকের ধাক্কা খেয়ে হাঁটতে হাঁটতে চিন্তা করি,আমি এখানে থাকবো না,আমাকে বের হতে হবে।

এরকম অবস্থায় ২০১৯ ডিসেম্বর এর শেষদিকে পরিচিত একজন জানালো vizrt তে ওপেনিং এর কথা।এপ্লাই করলাম,এরপর ভুলে গেলাম।দুই সপ্তাহ পর মেইল ঘাঁটতে গিয়ে দেখি ওরা আগের সপ্তাহেই আমাকে মেইল করসে আর ইন্টারভিউ ডেট সিলেক্ট করতে বলসে।জিমেইলে ugly email নামে একটা এক্সটেনশন সেট করসিলাম,সেটা কোনভাবে ঐ মেইল কে আরেক ফোল্ডারে নিয়ে ফেলসে,যার কোন নোটিফিকেশন আমি পাইনি।ধরেই নিলাম যে এরা আর ইন্টারভিউ নিবে না,তারপর ও এপোলজাইজ করে মেইল করলাম।ওখান থেকে মেইল ব্যাক করে আবার ইন্টারভিউ ডেট দিলো। . প্রথমে একটা কোডিং টেস্ট,এরপর টেক ইইন্টারভিউ। এরপরে আমার কারেন্ট টিম লীড আমার সাথে যোগাযোগ করলেন,বললেন ইন্টারভিউ ফিডব্যাক ভাল,তাই ওরা proceed করতে চায়।আমাকে রিলোকেট করার চ্যালেঞ্জ গুলা জানাবে,এরপর আমি যদি এই চ্যালেঞ্জগুলার ব্যাপারে পজেটিভ হই তাহলে অফার লেটার পাঠাবে।আমার তখনো ব্যাপারটা বিশ্বাস হয়নাই।পরে কয়েকটা ক্যাজুয়াল মিটিং এর পর অফার লেটার পেলাম।দুইদিন ধরে খুশিতে আকাসে উড়তেসি মনে হচ্ছিলো।এরপর vizrt থেকে ওয়ার্ক পারমিট initiate করলো,কাগজ পত্র আর ফি জমা দিয়ে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য এপ্লাই করলাম।তখন দেশে আস্তে আস্তে কোভিড রুগি পাওয়া যাচ্ছে।আমি এপ্লাই করার ২ দিন পরই বাংলাদেশের সুইডেন এম্বেসি বন্ধ হয়ে গেলো।

তার ৪-৫ দিন পরেই মেইল পেলাম যে আমার ওয়ার্ক পারমিট গ্রান্ট হইসে,এখন আমাকে এম্বেসিতে গিয়ে ফটোগ্রাফ আর ফিংগারপ্রিন্ট জমা দিতে হবে।কিন্তু এম্বেসি তো বন্ধ,তাও ভাবলাম কয়দিনই বা আর বন্ধ থাকবে।তখন মার্চ মাস,আমার মে মাসের এক তারিখে জয়েন করার কথা।এরকম করে মার্চ,এপ্রিল,মে মাস চলে যায়,কিন্তু এম্বেসি খোলার নাম নাই।সুইডেনে ও তখন এন্ট্রি রেস্ট্রিকশন দেয়া।এভাবে জুন মাস চলে আসলো।vizrt থেকে জানালো ওরা ম্যাক্সিমাম জুন ৩০ পর্যন্ত ওয়েট করতে পারে,এরপর তারা অফার উইথড্র করবে।তখন আস্তে আস্তে মনে ভয় ঢুকতে শুরু করলো।জুনের শেষ সপ্তাহ চলে আসলো,এম্বেসি তখনো বন্ধ।মেইল করলে একই উত্তর পাই, ওরা কাজ শুরু করলে আমাকে জানাবে।জুলাই এর ১ তারিখ কোম্পানি থেকে মেইল করে দিলো,আমি যেহেতু যেতে পারতেসি না আর রিমোটলি জয়েন করা ও ওদের পলিসিতে সম্ভব না তাই ওরা জব অফার উইথড্র করতেসে।কিন্তু তাও যদি এম্বেসি ওপেন হয় আর আমি যদি এপয়েন্টমেন্ট পাই ওদের কে জানাই,কারণ ওরা ওয়ার্ক পারমিট এপ্লিকেশন আপাতত ক্লোজ করতেসে না।কিন্তু জব অফার যেহেতু ক্যান্সেল করসে তাই সামনে কি হবে সেটা নিয়ে তারা কোন কথা দিতে পারবে না।

মেইল পাওয়ার পর আমার কেমন লাগসে সেই অনুভূতিটার কোন নাম নাই।মানে আমি জানি এটাই দুনিয়ার শেষ না,আমি জানি সামনে আমাকে আরো অনেক গুলা জবে এপ্লাই করে যেতে হবে,আরো অনেক গুলা ইন্টারভিউ দিতে হবে,কিন্তু আমার সব কিছু অন্ধকার লাগে। জুলাই এর ৩ তারিখ এম্বেসির ওয়েবসাইটে দেখলাম, দেখলাম যাদের রেসিডেন্স পারমিট আছে তারা সুইডেনে ঢুকতে পারবে।জুলাই এর ৪ তারিখ এম্বেসি থেকে ফোন করলো,বায়োমেট্রিক দেয়ার জন্য এপয়েন্টমেন্ট দিলো,কিন্তু সেটা জুলাই এর ২৬ তারিখ।vizrt তে যোগাযোগ করলাম,আরো গাদাখানেক মিটিং হলো,এরপর ওরা জানালো ওরা আবার অফার লেটার পাঠাবে।কিন্তু আমার ওয়ার্ক পারমিট এর ভ্যালিডিটি শুরু হইসে ২৯ এপ্রিল থেকে।এর চার মাসের মধ্যে মানে ২৯ আগস্ট এর মধ্যে আমি যদি সুইডেনে ঢুকতে না পারি তাহলে আমার ওয়ার্ক পারমিট ক্যান্সেল হয়ে যাবে।আর সেক্ষেত্রে নতুন করে আবার আমার জন্য ওয়ার্ক পারমিট কোম্পানি থেকে ইনিশিয়েট করবে কিনা সেটা তারা শিওর না।এখন চিন্তা করলে মনে হয় বাজি ধরতেসিলাম,কিন্তু তখন এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম যে আগস্ট ২৯ এর মধ্যে সুইডেনে ঢুকার ট্রাই করবো।সমস্যা দেখা গেলো টিকেট নিয়ে।খুব কম ফ্লাইট যাওয়া আসা করতেসে,টিকেট এর দাম ও অনেক বেশি,আর ফ্লাইট ক্যান্সেল হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। তার উপর কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট না থাকলে কেউ দেশ ছাড়তে পারতেসে না তখন।দিনরাত এটা ওটা স্যানিটাইজ করি,বাইরে গেলে বাসায় এসে বালতি ভর্তি কাপড় ধুই,বাসা ভর্তি ভিটামিন সি আর জিংক ট্যাবলেট।ভুলেও কখনো ইউজ করা মাস্ক ভুল জায়গায় রাখলে অনিকের চিৎকার এরপর দুইজনের ঝগড়া।এর মাঝেই একদিন কাতার এয়ারলাইন্সের টিকেট করে ফেললাম। . এরপর জুলাই এর ২৬ তারিখ বায়োমেট্রিক দিয়ে কয়দিন পর চট্টগ্রাম গেলাম।বুড়া মা বাপ গুলা এই অবস্থায় সি অফ করতে ও আসতে পারবে না,যদি যেতে পারি আবার কখন দেখা হবে তার ও ঠিক নাই।চট্টগ্রাম গিয়ে আরো স্ট্রিক্ট রুটিন,একটা ঘরে থাকি,ঘরের বাইরে টেবিলে আলাদা প্লেট গ্লাস রাখা থাকে,শাশুড়ি খাবার দাবার সেখানে ঢেলে দেন,আমরা খেয়ে প্লেট ধুয়ে আবার ওখানেই রাখি। গল্প করতে বের হলে মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে গল্প করি।এর মধ্যেই অনেক ঝামেলা করে ক্রেডিট কার্ড করা,কারণ এর আগে কখনো ক্রেডিট কার্ড ইউজ করি নাই।সাথে কিছু ক্যাশ ডলার নিতে চাচ্ছিলাম,তার জন্য যা যা করা লাগসে তা লিখতে গেলে এরকম আরেকটা স্ট্যাটাস হবে।আত্মীয় স্বজন কাউকে জানানো হয়নাই কারণ নিজেরাই জানিনা যেতে পারবো কিনা।

এর মধ্যে একদিন মেইল আসলো কাতার এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ক্যান্সেল।মাথায় আকাশ ভেংগে পড়লো পুরা।আমাদের টিকেট লাগবে ২৫-২৮ তারিখের মধ্যে,এই সময়ে খুব বেশি ফ্লাইট নাই।এমিরেটসের ফ্লাইটের দাম আকাশ ছোঁয়া,কাতারের ফ্লাইট ক্যান্সেল,এগুলা ভাবতে ভাবতে দেখি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইকোনমি টিকেট শেষ,আছে শুধু বিজনেস ক্লাসের টিকেট।দরজা বন্ধ ঘরে দুইজন টেনশনে ঘামতেসি,বাসার বাকিরা কিছু জানেনা,দুইজন দুই জনের দিকে কিছুক্ষণ তাকাই থেকে বিজনেস ক্লাসের টিকেট বুক করে ফেললাম,এক বড় ভাইয়ের হেল্প নিয়ে তার পরিচিত এজেন্ট দিয়ে টিকেট কেটে ফেললাম।তখনো কাতার এয়ারলাইনসের ক্যান্সেল হওয়া ফ্লাইটের টাকা ফেরত পাই নাই,কবে পাবো তাও জানিনা। আমাদের সেভিংস এর একটা বড় অংশ টিকেট এর পিছনে চলে গেসে তখন,এই ফ্লাইটটাও ক্যান্সেল হলে কি করবো আমরা জানিনা।যেতে পারবো কিনা জানিনা তাও লাগেজ গুছাতে হচ্ছে।পছন্দের জিনিসপত্র জায়গার অভাবে ফেলে দিতে হচ্ছে।

এর মধ্যে আবার বিদেশগামীদের কোভিড পরীক্ষার জায়গা ঠিক হইসে মহাখালী dncc তে, রোজ খবরে সেই জায়গার ভিড় দেখি আর ভাবি,এই ভিড়ের মধ্যে টেস্ট করতে গেলে আসলেই কি কোভিড নেগেটিভ থাকতে পারবো?কোভিড পজিটিভ আসলে কি করবো? . এরপর ঈদের পরে নতুন নিয়ম হলো,ডেস্টিনেশন কান্ট্রি বা এয়ারলাইনস না চাইলে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে না ফ্লাই করতে।নিয়ম তো হইসে,এয়ারপোর্টে কি সেটা জানে? হয়রানি করবে না তো? টার্কিশ এয়ারলাইনস নেগেটিভ সার্টিফিকেট চাওয়া শুরু করবে না তো? এগুলার মাথায় নিয়ে একেকটা দিন যায়।এদিকে ঢাকা ফেরত আসলাম,২০ তারিখ পার হয়ে গেলো,আমাদের রেসিডেন্স পারমিট কার্ডের কোন খবর নাই।আমার ২৫ তারিখ ভোরে ফ্লাইট,আর এক সপ্তাহ ও বাকি নাই,প্রতিদিন একবার করে এম্বেসি তে ফোন করি,ওরা বলে যে কার্ড আসে নাই,কোভিড এর জন্য পোস্ট দেরীতে আসতেসে।এক সময় ব্যাগ গুছানো ছেড়ে দিলাম।পরে ২১ তারিখ অভ্যাসবশত এম্বেসিতে ফোন দিলাম,বললো কার্ড আসছে,আমরা ২৩ তারিখ আনতে পারবো।

এরপর চিন্তায় পড়লাম কোভিড টেস্ট করবো নাকি করবো না।পরে ভিড় দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম এত ভিড়ে গিয়ে টেস্ট করাবো না,যা হবে হোক।২৩ তারিখ কার্ড নিয়ে আসলাম।বাসা ছাড়লাম।তাও একমাসের বেশি ভাড়া দিয়ে,যদি এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত আসতে হয় থাকার জায়গা তো লাগবে।জিনিসপত্র ও সরাই নাই,যদি আমরা সুইডেন গিয়ে পৌঁছাতে পারি তাহলে দাদা জিনিসপত্র নিয়ে আসবে।ঢাকায় তখন কয়দিন ধরে বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরম।কোন ভাবেই জ্বর বাঁধানো যাবেনা কারণ টেম্পারেচার বেশি থাকলে নাকি এয়ারপোর্টে ঢুকতে দিচ্ছেনা। . এখন শুনলে আমাকে পাগল মনে হতে পারে,আমরা হয়তো পাগলই হয়ে গেসিলাম স্ট্রেসে।২৪ তারিখ পুরা দিন ধরে এর ওর কাছ থেকে বিদায় নেয়া,সাথে এটাও জানিয়ে দেয়া,যেতে পারবো এটা কিন্তু শিওর না।২৫ তারিখ রাত ১২ টায় এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দিলাম।এয়ারপোর্টে ঢুকতে একটা ফর্ম ধরাই দিলো,সেখানে নাম ধাম সব আমার লিখতে হবে,কিন্তু টেম্পারেচার ওদের লিখে দেয়া।বোর্ডিং পাস নিয়ে দুরুদুরু বুকে ইমিগ্রেশনে গেলাম।একজন জিজ্ঞেস করলো আপনার কোভিড সার্টিফিকেট কই।আমি বললাম,আমি সুইডেনে যাচ্ছি,ওখানে লাগেনা।সে বললো,আপনি শিওর সুইডেনে লাগেনা?আমি বললাম,হ্যাঁ।এরপর কই থেকে জানি ভেরিফাই করে আমাদের যেতে দিলো।এরপর বসে আছি তো আছিই,বোর্ডিং শুরু হয়না।

পরে জানা গেলো ব্যাগ স্ক্যান করার মেশিন নষ্ট।৬টার দিকে প্লেনে উঠে বসলাম।তখন পুরা শরীরে আর সাড় ছিলো না যে,কোথায় যাচ্ছি,কেন যাচ্ছি।এই প্রথম এত দূরে যাচ্ছি তার এক্সাইটমেন্ট ও ছিলোনা।মাঝে ইস্তাম্বুলে ট্রানজিট হয়ে বিকাল ৪.২৫ এ স্টকহোম পৌঁছালাম।তখনো একটু ভয়ে আছি যে যদি ঢুকতে না দেয়!কাউন্টারের মেয়ে টা জিজ্ঞেস করলো,”first time in sweden?”,মাথা নাড়লাম, হেসে welcome বললো।সব শেষ করে arlanda airport এর এক্সিটে বসে আছি,খুব শান্তি লাগতেসিলো।তানজি আপু আর আনন্দ ভাইয়ার আমাদের নিতে আসার কথা,একটু দেরী হচ্ছে তাই আপু বারবার ফোনে সরি বলতেসে,আমি আপুকে বুঝাতে পারতেসি না যে,এখন আমি সারা রাত এয়ারপোর্টে বসে থাকতে ও রাজি আছি। 😄

আসার পর দেশে সবাই জিজ্ঞেস করতেসিলো,হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে কেন আসলাম,কিভাবে আসলাম।আজকে লিখে ফেললাম।আমার এখনো প্রবেশন পিরিয়ডের চলে vizrt তে।কাতার এয়ারলাইন্সের ক্যান্সেল হওয়া ফ্লাইটের টাকা ফেরত পাইসি।তার চেয়ে বড় কথা ওয়ার্ক পারমিট এপ্লিকেশন ফি পুরাটা এবং টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যে বিজনেস ফ্লাইটে আসছি সেটার টিকেটের খরচের(আমাদের দুইজনের) two third আমাকে vizrt reimburse করসে।ওরা যত টুকু ফ্লাইট কস্ট সাধারণত কভার করে এটা তার পাঁচগুণ বেশি।কিন্তু ওদের মনে হইসে onboarding এর আগে লকডাউনের টাইমে আমি ওদের সাথে অনেস্ট ছিলাম এবং সব সময় ওদেরকে ঠিক ইনফরমেশন দিসি,তাই এটা আমার জন্য ওদের token of appreciation! 🙂”

লিখেছেন Dola Chakraborty. (যারা পড়বেন তারা দয়া করে বানান এর দিকে লক্ষ্য না দিয়ে কনটেন্ট দেখুন)

Leave a Reply