আমার পরিচিত একজন মাস্টার্স (ইংরেজী) প্রোগ্রামে অফার লেটার পেয়েছিল কোন IELTS/TOFEL ছাড়াই। কারণ তার ব্যাচেলর এর শিক্ষার মাধ্যম ছিল English। আর সেটা দেখেই ভার্সিটি তাকে অফার লেটার পাঠিয়েছিল। কারণ কোর্সটিতে ভর্তির জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল ভর্তির requirement অনুযায়ী। কিন্তু ঢাকাস্ত জার্মান এমব্যাসি তার ভিসা এপ্লিকেশন বাতিল করে দেয়। এমব্যাসি তার চিঠিতে লিখেছিল তার ভাষার উপর জ্ঞান মাস্টার্স প্রোগ্রামটির জন্য যথেষ্ট নয়।  আমি দেশের কয়েকজন ইমিগ্রেশন লয়িয়ার এর সাথে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার ব্যাপারে কথা বলেছিলাম যারা এসব ব্যাপারে কাজ করে থাকে। কথা বলে বুঝলাম তারা অন্য এম্বেসির ক্ষেত্রে আপিল করলেও কেউই কনফিডেন্ট না জার্মান এম্বেসির রিফিউজড ভিসা আপিলের ব্যাপারে। কারন কেউই নাকি সফল হয়নি। যদিও আমাদের ক্ষেত্রে স্ট্রং যুক্তি ছিল এম্বেসির এই কাবজাবকে ডিফেন্ড করার।

পরে সিদ্ধান্ত নিলাম টাকা যাক কিন্তু খেলা সুন্দর হোক। এর শেষ দেখেই ছাড়ব। জার্মানির উকিল দিয়ে পরে আপিল করালাম আর এক মাসের মধ্যেই জিতলাম। উকিলকে প্রায় ৪৫০ ইউরো দিতে হয়েছিল। যদিও ডিফেন্ড করার যাবতীয় তথ্য, পেপার আমারাই দিয়েছিলাম উকিলকে। সে শুধু তার ওকালতির ভাষায় জিনিসগুলো লিখেছে আপিল লেটারে। উকিল নিজেই মেইল করেছিল তার মক্কেলের পক্ষ থেকে।

এখন আপনি যদি কনফিডেন্ট থাকেন আপনার ব্যাপারে আমি বলব এগিয়ে যান। দেশে কোন কনফিডেন্ট (নট বাটপার) উকিল খুঁজে পেলে তো ভালই, সস্তায় করতে পারবেন। অবশ্য বাটপার উকিল হলেও সমস্যা নাই কারন সে আপনাকে বেশি ঘুরাতে পারবে না টাকা খাওয়ার ধান্দায়। কারণ আপিল এক মাসের মধ্যেই করতে হয় আর রেসাল্টও দ্রুত পেয়ে যাবেন। আর তা না হলে জার্মানিতে যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে তাদের মাধ্যমে এখানকার উকিল ধরে করলে আরও ভালো।

আপনি যেখান থেকেই যে উকিল দিয়েই আপিল করেন না কেন আপনাকে ঢাকাস্থ জার্মান এমব্যাসিতেই আপিল করতে হবে।


এখন আপিল সংক্রান্ত ব্যাপারে খুব সংক্ষেপে বলি। তিনভাবে আপনি আপিল করতে পারবেন।

১। আপনি নিজে একাই নিজের ভিসা বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপিল (remonstrance) করতে পারবেন সিদ্ধান্ত শুনানির এক মাসের মধ্যে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সিগনেচার সহ ডাকযোগে ঢাকাস্থ জার্মান এমব্যাসিতে পাঠানোর সাথে সাথে [email protected], [email protected] মেইল করে দিতে পারেন। চিঠির ভাষা হতে হবে ইংরেজী/জার্মান।

২। আপনার উকিল (দেশি/জার্মান) আপনার পক্ষ হয়ে remonstrate করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আপনি যে তাকে power of attorney দিয়েছেন তার একটা প্রমানপত্র সাথে দিতে হবে। আর উকিলই আপনার পক্ষ হয়ে সব দরকারি ডকুমেন্ট সহ ডাকযোগে পাঠাবে/ মেইল করবে।

উকিল দ্বারা আপিলকৃত চিঠির একটা ধরণ উধাহরন হিসেবে দেয়া হল। চিঠির ভাষা ডয়েচে তাই দয়া করে নিজ দায়িত্বে অনুবাদ করে নিবেন।

৩। remonstration করার পরও যদি আবার রিজেক্ট হন, সিদ্ধান্ত শুনানির পরবর্তী এক মাসের মধ্যে আপনি Administrative Court of Berlin (Kirchstrasse 7, 10557 Berlin) এ পুন:রায় লিখিতভাবে appeal করতে পারবেন। এটা অনেক লম্বা প্রসেস। কারণ আপনাকে কোর্টের ডেইটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ততদিনে আপনার একটা সেমিস্টার চলে যেতে পারে। (not recommended)

যদিও এটা অন্য দেশে অবস্থিত জার্মান এমব্যাসিতে আপিল করার সিস্টেম; এটাকেও স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরতে পারেন।
http://goo.gl/OSpJUO

আর একটা কথা। জার্মানির ব্যাপারে “বলে বেতার কেন্দ্রের” মত মানুষের কথার উপর ১০০% বিলিভ করে বসে থাকবেন না। মানুষ থেকে তথ্য নিয়ে সম্যক ধারণা নিবেন। নেগটিভ হলেও আপনি যদি মনে করেন আপনি আপনার যায়গায় সঠিক তাহলে অন্তত একবার হলেও ট্রাই করবেন। এটা শুধু আপিলের ক্ষেত্রে না সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

সূত্রঃ http://www.auswaertiges-amt.de/EN/Infoservice/FAQ/VisumFuerD/10-Ablehnung.html

mm

By Ahtashom Evan

Richter akustik and design তে চাকরি করছি Chemiker (Produktentwicklung) হিসেবে। থাকি Melle, Germany তে। http://www.richter-akustik-design.de/en/contact-persons.html

6 thoughts on “ভিসা (visa) পেতে যদি হয় আইনী লড়াই”
  1. অসাধারণ সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ ,
    এই বিষয়ে আমি কিছু যোগ করতে চাই,

    আসুন দেখি জার্মান এমব্যাসি ঢাকা,এই বিষয়ে কি পরামর্শ দিয়েছে,
    আমার প্রশ্ন ছিল,
    Dear Sir/Madam,
    I have just a important question, if any any one refused from student visa,,then can he appeal for decision?? If yes then how can he appeal?? Thankx in advance

    জবাবে জার্মান এমবাসি ঢাকা,
    “The appeal must be in written form with proper signature within one month.”

    এটাই কিন্তু শেষ নয় ,
    ইউরোপিয়ন কোর্ট অফ জাস্টিস (ECJ) কি বলে চলুন দেখি।

    In a positive move for the freedom of movement for young people, following the hearing of the case Mohamed Ali Ben Alaya v Germany,the ECJ ruled that Member States are obliged to admit to their territory third-country (non-EU) nationals who wish to stay for more than three months for study purposes, where they meet the conditions for admission listed by EU law. This means that Member States are prohibited from introducing additional conditions for admission.

    তাতেও যদি আপনি সন্তুষ্ট না হন তবে, ইউরোপিয়ন কোর্ট অফ জাস্টিস (ECJ) তে যেতে পারেন অতি সম্প্রতি তুয়নিসিয়া থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউরোপিয়ন কোর্ট অফ জাস্টিস (ECJ) জার্মানির প্রতি রুল জারি করেছে যে, কোন ছাত্র যদি ইউরোপিয়ন ডাইরেটিভ এর মিনিমাম সর্ত পূরণ করে তাহলে তাকে ভিসা দিতে হবে , এই সব বিষয় একজন আইনজীবীর জানা আছে, তাই উনি যখন লিখবেন আই বিষয়গুলির রেফেরান্স দিয়ে লিখবেন,তাতে গ্রহণযোগ্য হবে বিষয়টি ।

  2. Dear Senior Brothers/Sisters
    Unfortunately, my visa application has been refused. What can I do in this situation? Please help me

    Reasons:

    1. Due to the recent poor performances and the few acquired expertise in the context of your studies in your home country there are still considerable doubt that you can complete the desired you master in a timely manner.

    2. You may not have succeeded in convincing to tell the contents of your already completed Bachelor degree.

    3. In the conducted in-house interview, it seemed as if you had the few comments, (how many credits and which courses) on the occasion of your intended study memorized.

    4. You fail to display information on the contents your desired field of study and the motivation to prove this technical convincing.

Leave a Reply