মাস দুয়েক আগে একটা কোম্পানি থেকে ইমেইল পেলাম।
” আমি কালকে দুপুরে আপনার টেলিফোন ইন্টারভিউ নিতে চাই। আপনি রাজি থাকলে দয়া করে রিপ্লাই দেবেন।

ইতি,
নিকিতা বেলুজভ।”

আমি সাথে সাথেই উত্তর লিখে ফেললাম।

” জ্বনাবা বেলুজভ,
আপনার ইমেইলের জন্য ধন্যবাদ। আমি কালকে ফ্রি আছি।”

সেন্ড বাটনে ক্লিক দিতে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে ভাবলাম, দেখিনা তার প্রোফাইল চেক করে।
গুগলে তার পুরো নাম সার্চ দিলাম। লিংকডইনে ঢুকেই আক্কেল-গুড়ুম অবস্থা। এ যে একটা পোলা। আমার চেয়েও পিচ্চি, ছয় মাস আগে চাকরিতে ঢুকেছে। দ্বিধায় পড়ে গেলাম। অন্যদিকে ফেসবুকের অনেকগুলো প্রোফাইলে সেই নামে মেয়ের ছবি দেখাচ্ছে। অবশেষে আরেকটা প্রফেশনাল সাইটে গিয়ে নিশ্চিত হলাম যে, এই ব্যাটা আসলেই ব্যাটা, বেটি নয়।

পরে ইমেইলে জ্বনাবার বদলে জ্বনাব লিখে সেন্ড করলাম।

এর আগেও অনেক এপ্লিকেশনে কন্ট্যাক্ট পার্সনের নাম দেখেই তাদের জেন্ডার নিয়ে ধারণা করেছিলাম। সিভি প্রত্যাখান হওয়ার এটাও বোধহয় একটা বড় কারণ ছিল!

mm

By Shariat Rahman

আমি বর্তমানে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্সে সায়েন্টিফিক এসিস্ট্যান্ট (Wissenschaftlicher Mitarbeiter) হিসেবে কাজ করছি। ২০০৯ সালে বুয়েট থেকে আইপিইতে ব্যাচেলর আর ২০১২ সালে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্স থেকে বায়োনিক্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। অবসর সময়ে সোস্যাল মিডিয়া, আড্ডাবাজি আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি।

Leave a Reply