4জার্মানীর বখুম শহরে আজকে জার্মানীর অটোমোটিভ কোম্পানীগুলোর সম্ভবত সবচেয়ে বড় জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হলো। সেখানে বিএমডব্লিউ, বশসহ অনেক বড় বড় কোম্পানী এসেছিল। আমার মত তরুণ পেশাজীবিদের কাজে লাগবে বিধায় আমার অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করছি।

প্রত্যাশা: অনেকগুলো কোম্পানিতে সিভি জমা বা ইন্টারভিউ দেওয়া।

বাস্তবতা: মাত্র একটা কোম্পানি আমার সিভি গ্রহণ করেছে। কারণ সব কোম্পানিই তাদের দেওয়া চাকরির বিজ্ঞাপনের বিপরীতে লোক নিয়োগ করে।

যা পেলাম:
১। বড় বড় কোম্পানির এইচআর ও টেকনিক্যাল লোকজনের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ ও তাদের সম্পর্কে জানার অপার সুযোগ।
২। এতদিন যেসব প্রোটোটাইপের ছবি ইন্টারনেটে দেখে সেগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য এপ্লাই করেছিলাম, সেগু্লো স্বচক্ষে দেখার ও সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করার সুযোগ।
৩। সিভি, কভার লেটার ও ইন্টারভিউ এ কি কি বিষয়কে ও কিভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় তা জানার সুযোগ।
৪। ভাল রেজাল্টের পাশাপাশি প্রেজেন্টেশন ও সোশ্যাল স্কিল বাড়ানোর পরামর্শ। জার্মানিতে কাজ করতে চাইলে জার্মান ভাষায় ভাল দক্ষতা রাখার পরামর্শ।
৫। অনেক বিখ্যাত কিন্তু অপরিচিত কোম্পানি ও তাদের জব অফার সম্পর্কে জানার সুযোগ।

আমার পরামর্শ: সম্ভব হলে আপনার এলাকার আশেপাশের জব ফেয়ারগুলোতে নিয়মিত অংশ নিন। শেখার শেষ নেই, সেজন্য আপনি প্রতিবারই নতুন কিছু শিখবেন।

সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

mm

By Shariat Rahman

আমি বর্তমানে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্সে সায়েন্টিফিক এসিস্ট্যান্ট (Wissenschaftlicher Mitarbeiter) হিসেবে কাজ করছি। ২০০৯ সালে বুয়েট থেকে আইপিইতে ব্যাচেলর আর ২০১২ সালে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্স থেকে বায়োনিক্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। অবসর সময়ে সোস্যাল মিডিয়া, আড্ডাবাজি আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি।

One thought on “জব ফেয়ার ও আমার অভিজ্ঞতা”

Leave a Reply