শুভেচ্ছা নিন। শুরুতেই আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, সময়ের অভাবে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি।এখন ক’টা দিন ছুটি। বিশেষত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার প্রিয় বিভাগের অনেকেই দেশের বাইরে পড়াশুনা নিয়ে  প্রশ্ন করেছেন,  জানতে চেয়েছেন, অনেককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা। আমার অভিজ্ঞতা আর জানাশুনা খুব সীমিত। মূলত বন্ধুদের প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসার আলোকে এবং আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় সংক্ষেপে কিছু  ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করছি…।

বুঝে সিন্ধান্ত নিন  

কোন কিছু শুরু করতে পুঁজি লাগে। আবেগ দিয়ে সব কিছু হয়না। first deserve then desire ! যাদের  বিসিএস নিয়ে ভাবনা আছে, তাদের বিদেশ নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট না করাই ভালো। কাছের বড় ভাই/ টিচার কিংবা মা-বাবার সাথে আলাপ করে নিন। পড়াশুনার পর কী করবেন। swot analysis করতে পারেন। This is turning point that changes your life! হাতে সম্ভাব্য একাধিক অপশন রেখে সিন্ধান্ত  নিবেন।  যারা  বাইরে পড়তে আসে, তাদের টাইপ হচ্ছে, আসলেই সিরিয়াস স্টুডেন্ট, দেশে ফিরে যাবে কিংবা বাইরে সেটেল হবে। আরেক কিসিম হচ্ছে, বাপের টাকা বা মায়ের গয়না বেছে বাইরে পড়াশুনার নামে শ্রম বিনিয়োগ করতে আসেন।

যেভাবে শুরু করবেন

এই পর্বে, Country..Subject…Scholarship/tuition fee নিয়ে বুঝাপড়া করে নিন। কোনটাকে প্রাধান্য দিবেন  সেটা আপনার সিন্ধান্ত। হাই রেঙ্কড ইউনিভার্সিটি বলে কিছু নেই; আপনার আগ্রহের বিষয়টি কোথায় আছে সেটা বের করুন। পড়াশুনা বরাবরই আনন্দ ও উপভোগের, তাই বিষয় নির্বাচনটি জুরুরি।  আপনি GRE, SAT দিতে পারলে USA বেস্ট অপশন। Australia and  Canada তে Scholarship পাওয়া একটু কঠিন। কিন্তু মানসম্মত পড়াশুনা গবেষণা কিংবা সেটেল হওয়ার জন্য এই দুটি দেশ বরাবরই এগিয়ে। বাকি থাকে ইউরোপ । আমার কাছে মনে হয়, ইউরোপের অনেক দেশ Scholarship নিয়ে বসে আছে। কিন্তু আমাদের বোকামি হচ্ছে, নিজেদের মাথাটা খাটাইনা। টাকার বান্ডিল নিয়ে এজেঞ্চির পেছনে পেছনে ঘুরি। গুগলে সার্চ দেন। কোন দেশে বিষয় পেলেন কিন্ত Scholarship নাই, আবার Scholarship থাকলে বিষয় মিলাতে পারছেনা। সো, নিজের নোটবুকে প্রয়োজনীয় information টুকে নিন। বিষয় নির্বাচনে একটু wide and flexible হওয়া ভালো। Google is the best teacher to ask your question । ফেইসবুকে ও  অনেক information পাবেন, সার্চ দিয়ে বের করুন। এখানে আপনাদের সুবিধার্থে আমার পছন্দের দুইটি লিঙ্ক দিলাম। http://studylink.com/countries/ http://www.scholars4dev.com/category/country/europe-scholarships/ । ইউরোপের বাইরে ও অনেক  দেশ আছে যারা  ভালো Scholarship অফার করে । সময় নিয়ে দেখুন। কোথাও আটকে গেলে সরাসরি কোর্স  কোর্ডিনেটরকে মেইল করুন। না বুঝা পর্যন্ত মেইল করুন, বারবার। অহেতুক আবেগ আর তাড়াহুড়া করে সিন্ধান্ত নিবেননা ।আমার straight and direct পরামর্শ হচ্ছে Just think for scholarship and try to manage it. লেগে থাকেন।

Scholarship ভাবনা

Scholarship পাওয়া মানে কিল্লা ফতেহ! আপনাকে আর আটকানোর কেও নাই। আর আপনি নারী হলে তো   প্রিভিলিজ,সম্ভাবনা বেশী। যেমন নেদারল্যান্ড ফেলোশিপ ৫০% নারিদের জন্য বরাদ্দ। একটু যোগ্যতা আর কপাল ভালো হলেই এই সোনার হরিণ হতের মওয়া। এই যোগ্যতা আর কিছুই না, টাকার বান্ডিল নিয়ে এজেঞ্চির পেছনে না ঘুরে শুরু থেকেই determined থাকা। আমি যখন IELTS ভর্তি হই, তখন সবার মনে একটা প্রশ্ন,ভাই, আপনি কোন দেশে যাবেন ? আমি বলতাম, ‘যেদেশে Scholarship পাই সেদেশে, না পেলে যাবনা’। আর অধিকাংশই বলতো অমুক দেশ… Australia and Canada। মানে আগে থেকেই দেশ ফিক্স। বাপের টাকা থাকলে আর কি। আমি প্রায় এক-দেড় বছর কোন ইতিবাচক ফলাফল না পেয়েও লেগেই ছিলাম। চায়না, রাশিয়া, কোরিয়া তুরস্ক থেকে শুরু করে জার্মানি, ফ্রান্স…। আল্লাহ কাছে শুকরিয়া, এখন বৃত্তি নিয়ে নেদারল্যান্ড আসার আগে আরো তিনটি দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার পেয়েছি। কিন্ত পুরাপুরি বৃত্তির জন্য আমাকে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। just work with persistence and patience। আপনি ও পারবেন।

দ্বিতীয়ত, Scholarship না পাওয়ার  অন্যতম কারণ হচ্ছে ইংরেজি ভীতি এবং যোগাযোগ অদক্ষতা। ইংরেজি ভীতি তো থাকবেই, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪-৫ বছর লাইফে  কোন ইংরেজি বইয়ের একটা পাতাও না পড়ে  ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে বের হওয়া সম্ভব! অনেকেই রেজাল্টের  কথা বলেন। কিন্তু আমার কাছে, এইটা অজুহাত।  কারণ, আমার একাদেমিক রেজাল্ট কিংবা IELTS score কোনটাই আহামরি না। অনেকের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের Scholarship পেইজ দেখে, নিয়ম-প্রক্রিয়া গুলো অনুধাবন করার মতো patience or competency কোনটাই নাই। তবে, Scholarship পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত হচ্ছে, IELTS score (6.5 or 6.5+), Motivation letter  এবং recommendation letter।

IELTS score প্রসঙ্গ

সোজা কথা IELTS হচ্ছে একটা ব্যবসা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এটা দিয়ে ইংরেজি দক্ষতা যাচাই করা হয় । UK,  Australia এই IELTS দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাই করে। কিন্তু কথা হচ্ছে, IELTS প্রক্রিয়াটা টেকনিক্যাল। আমি অনেক ইংরেজিতে দক্ষ জনকে জানি, যারা IELTS ভালো করতে পারেননি। IELTS ভালো না করা মানে, ইংরেজি কম জানে এমন নয়। IELTS ভালো করতে কিছু কৌশল রপ্ত করে হয়। অনেকেই তা খুব দ্রুত রপ্ত করতে পারেন। আমি নিজেও পারি নাই! সো, টেকনিকস এন্ড টেকটিকস আয়ত্ত করতে পারলেই  ভালো স্কোর তুলতে পারবেন। টাইমিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, যতো বেশী শুনবেন, ততো ভালো বলতে  পারবেন; যতো বেশী পড়বেন ততো ভালো লিখতে পারবেন। ইংরেজিতে পণ্ডিত হওয়ার দরকার নেই, জাস্ট ৭ স্কোর টার্গেট নিয়ে প্রস্তুতি নিন। প্রতি মডিউলে নিজের ভুলগুলো শনাক্ত করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান। অনেক  গুলো বই একসাথে ফলো না করে আপানার যা ভালো ও সহজ মনে হয় তা দিয়ে শুরু করুন। রিডিং একটু টাফ; সো লিসিনিং,স্পিকিং এন্ড রাইটিং এ ভালো  স্কোর করা সহজ। তাহলে রিডিংকে ব্যাকআপ দিবে। যেমন,স্পিকিং একটু ভালো করলে এমনিতে অভারঅল ৬ উঠে আসবে। so don’t feel shy and keep practicing.. Just learn through committing mistakes, and don’t worry about your bad pronunciation, as a non native you don’t need to be perfect।

বলে রাখি, যাদের ইংরেজি বেসিক দুর্বল তারা বেশী না তিনটা বই আগে পড়ে নিন। Practical English Usage by Michael Swan, TOEFL  by Cliffs এবং Common Mistakes in English (English version) । আমার কাছে এই বইগুলো বেটার মনে হয়েছে। সিরিয়াসলি স্টাডি করলে একটা লেভেলে আসতে পারবেন, ইংরেজি ভীতি কিছুটা কমতে পারে। বাংলাদেশে ইংরেজি নিয়ে যে বিজনেস হয়, তা এই রকম কয়েকটি বইয়ের উপর রীতিমত ‘স্টিম রোলার’  চালিয়ে বা অনেকেই অনুবাদ করে নিজেদের  নামে চালিয়ে দেন। আর কোন বাংলা বই ফলো না করে ইংরেজি থেকে ইংরেজি শেখা অনেক নিরাপদ।

IELTS score  ছাড়া কি ইউরোপে মাস্টার প্রোগ্রামে এডমিসান সম্ভব ?

হ্যাঁ সম্ভব। আমি যতদূর জানি বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি কলেজগুলি ছাড়া বাকি সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ব্যাচেলর লেভেলে পড়াশুনার মাধ্যম ইংরেজি। আপনি কি জানেন এই ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনা করার কারনে আপনি অনেক ভাল দেশের ভাল মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়া এডমিসান ও ভিসা অর্জন করতে পারবেন।  মজার ব্যাপার হল তাঁরা ইংলিশ মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকসান ও আইইএলটিএস বা টোফেল সার্টিফিকেট এই দুই সার্টিফিকেটকেই সমান গুরুত্ব দেয়। সুতরাং যারা আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে ভয় পাচ্ছেন বা কম স্কোর পেয়েছেন তারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। অবশ্যই এটা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে। আর সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমাদের এজেঞ্চি গুলি ধান্ধা করে। প্রথমে আপনাকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট অব মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকসান  সার্টিফিকেটটি নিতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটি অবশ্যই এক্সাম কন্ট্রোলার কতৃক সার্টিফাই হতে হবে এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্টার কতৃক সার্টিফাই হতে হবে।

Motivation letter কেন?

আপনার অ্যাপ্লিকেশনের ৬০-৬৫% নির্ভর করে এই  Motivation letter এর উপর। এইটা পড়ে নির্বাচক সিন্ধান্ত নিবেন আপনার ভর্তির ব্যাপারে। so make it more productive what make the readers convinced and persuaded। দুই পাতার মধ্যে লিখবেন আপনার পড়াশুনা, অভিজ্ঞতা এবং পছন্দের বিষয় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। be specific and it’s better to focus on extracurricular activities and skills on perspective issue/subject।  গুগলে সার্চ দিলে অনেক টেম্পলেট পাবেন। নিজের মত করে সাজিয়ে নিন।অনেক বিশ্ববিদ্যালয় IELTS score যা উল্লেখ করে তার চেয়েও কম score ও নেয়। তবে এতে শর্ত হচ্ছে Motivation letter । যেমন, জার্মানিতে আমি আবেদন করার সময় আমি IELTS score নিয়ে কনফিউজড ছিলাম। ওদেরকে মেইল করলাম, আমার IELTS score ভালো না, ওরা বলল, Motivation letter ভালো করে লিখে এপ্ললাই করেন। এতেই আপনার ইংরেজি দক্ষতা বুঝা যাবে। পরে নির্দিষ্ট স্কোরের চেয়ে কম স্কোরে আমি অফার লেটার পেয়েছি। so be optimistic !

ইউনিভার্সিটিতে ডকুমেন্ট পাঠানোর বিভিন্ন মাধ্যম…..

এইটা নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে আবার কিছু আছে দুটাই লাগে। যেমন আমি জার্মানের হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। হার্ড কপি পাঠিয়েছি তাও বাংলাদেশ সরকারি পোস্ট অফিসে,  কম খরচে। পোস্ট অফিসে নতুন যুগান্তকারী ই-এম-এস সিস্টেম। ডি-এইচ-এল এর চেয়ে ৪ গুন  কম দাম  একি সার্ভিস দিচ্ছে। অনেকেই এই সার্ভিস এর কথা জানেন না।

প্লিজ, যে ধরনের প্রশ্ন করবেন না

মূলত বন্ধুদের প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসার আলোকে আমি উল্লিখিত মতামত শেয়ার করছি।  আমার অভিজ্ঞতা আর জানাশুনা খুব সীমিত। হয়ত আমার কোন পরামর্শ কারো কাজেও আসতে পারে। কিছু প্রশ্ন আমার কাছে খুব  বাজে মনে হয়েছে। যেমন,”কখন এপ্লাই করবো?” “কিভাবে স্কলারশীপ আবেদন করবো?” “পরিচিত কেউ আছে নাকি?” “Embassy তে Interview এর জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?” “পোল্যান্ড বেটার নাকি মালোয়েশিয়া বেটার ?”“জব ফ্যাসালিটি কোনটাতে ভালো ?” “কোনো দেশে Job নিয়ে যাওয়ার process টা কী একটু জানাবেন”…? These are absolutely funny and ridiculous!

আমার অভিজ্ঞতা

আল্লাহ কাছে শুকরিয়া। ভালো একটা স্কলারশিপে মানসম্মত বিষয় নিয়ে পড়ছি। মাসে ৯৭০ ইউরো পাই। থাকা-খাওয়ার পর হাতে অল্প থাকে। আপাতত পড়াশুনার নিয়ে আছি। এখনো কোন পার্ট টাইম জবের চিন্তা করছিনা। তাছাড়া সহজেই জব পাওয়া যায়না। খুব ছোট একটা দেশ। জব ইস কোওয়াইট সিলেকটিভ এন্ড কম্পিটেটিভ! নেদারল্যান্ডে জীবনযাত্রা এবং পড়াশুনার খরচ তলনামুলক বেশী। স্কলারশিপ ছাড়া এখানে আসার চিন্তা না করাই ভালো। বাংলাদেশ থেকে যা চিন্তা করতে পারবেননা, ইউরোপের যে কোন দেশে একটু মেধা ও স্রম দিয়ে অনেক বেশী, ভালো আওটকাম পাবেন।

দোয়া চাই সবার কাছে। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা।

আজিজ মুনির ,

ফেলো, নেদারল্যান্ড ফেলোশিপ প্রোগ্রাম।

২০১৫-২০১৬ সেশন।

mm

By Aziz Monir

ফেলো, নেদারল্যান্ড ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ও গণমাধ্যম গবেষক। বর্তমানে ইরাস্মাস মুণ্ডস স্কলারশিপ নিয়ে ‘কমিউনিকেশন, নিউ মিডিয়া এন্ড সোসাইটি’ বিষয়ে পড়াশুনা করছি । বিদেশ ভালো লাগেনা। দেশে ফিরতে চাই।

7 thoughts on “দেশের বাইরে পড়াশুনা”
  1. Very inspiring notes you provided!!
    I have read so many other posts about education outside the country but your post is one of the most reasonable and practical in providing valuable information.
    I usually don’t make any reply to any post, but your post made me say something and so it is here.
    Please continue your great work and share with us the experiences you get day by day.

  2. Firstly, Many satisfying tags beside your name to write an article about your experience. Secondly, you have described every possible aspects of higher education and choosing appropriate scholarships and be careful about electing countries. It is true that i have a high ambition to study in foreign countries like USA, AUSTRALIA and some other countries as well. Although my families economical background isn’t so rich but it can’t stop me to continue my higher study. The diligence that you have always been believed according to your article was showing up so wishes for you and good luck in Netherlands and labor hard.

    Pal, personally i wanna contact with you(Facebook, gmail…). A last request to you if you write an article about the scholarships i mean how to get it or some else so then the concept would be cleared.

  3. অনেককিছু জানলাম, অনেক ভুল ধারনা ভাঙ্গল। পোস্টটি আমাকে আরো আশাবাদী করল। ধন্যবাদ।

Leave a Reply to Aziz Monir Cancel reply